একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মূত্রাশয়ে ২০০ মিলিলিটার পরিমাণ মূত্র জমা হলেই সেটা বের করার নির্দেশ দেয় মস্তিষ্ক। এরপরও মূত্রথলি৩৫০ থেকে ৫৫০ মিলিলিটা♔র মূত্র ধরে রাখতে সক্ষম হলেও দীর্ঘ সময় আটকে রাখা যায় না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখা অনেকেরই স্বভাব। কেউ কেউ বাইরে বের হলে টয়লেটে ব্যবস্থপনা ভালো না হলেও প্রস্𓂃রাব আটকে রাখে। আবার শিশুরা যখন স্কুলে যায় টয়লেট নোংরা হলেও টয়লটে যেতে চায় না। সব মিলিয়ে প্রস্রাব আটকে রাখার অভ্যাস অনেকেরই মধ্যে আছে।
প্রস্রাব কখনও কখনও আটকে রাখতে হয়। এতে তেমন সমস্যা না হলেও যদি আপনি প্রতিনিয়ত এভাবে প্রস্রাব আটকে রাখেন সেটা ক্ষতিকর। কারণ আপনি যখন দীর্ঘসময় প্রস্রাব ধরে রাখেন তখন মূত্রাশয় তার স্বাভাবিক ক্ষমতার বেশি প্রসারিত হয়। এতে মূত্রাশয়ের পেশীগুলোকে দুর্বল করে দিতে পারে।
দীর্ঘসময় প্রস্রাব আটকে রাখলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। কারণ আমাদের শরীরে যত সব বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয় সব মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ মূত্রত্যাগ না করলে এ ধরনের বর্জ্যপদার্থ দেহের ভেতর জমে জমে কিডনি, মূত্রথলিতে পাথর হয়।
মূত্রনালীতে উপস্থিত ব্যাক্টেরিয়া প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। যখন আপনি দীর্ঘ সময় মূত্রথলিতে প্রস্রাব আটকে রাখেন, তখন ব্যাক্টেরিয়া গুলো বংশবৃদ্ধি করে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। এতে প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, শ্রোণীতে ব্যথা এবং ঘন ঘন প্রস্রাব করতে পারে।