বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা বেড়েই চলেছে। আর শীত এলে দূষিত বায়ুর প্রভাবে তো ফুসফুসের বারোটা বেজেই যায়। তাই এসময় শরীরের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি পরীক্ষা পদ্ধতি হল𓃲ো ৬ মিনিট হাঁটা। অর্থাৎ ৬ মিনিট হাঁটবেন। আর এই সময়ে কত দূর হেঁটেছেন, কী ভাবে হাঁটছেন তা দেখেই বোঝা যাবে, হার্টে বা ফুসফুসে জটিল রোগ হওয়ার আশঙ্কা আছে ✨কি না।
চিকিৎসকেরা বলেন ‘সিক্স মিনিট ওয়াকিং টেস্ট’। এই পরীক্ষা করার জন্য খোলা জায়গা হলে ভালো হয়। কোন খোলা জায়গার যেখান থেকে হাঁটা শুরু করবেন, সেখান💝ে একটি চিহ্ন দিতে হবে। তার পর ৬ মিনিট টানা হাঁটতে হবে। এই ৬ মিনিটে বিশ্রাম নেওয়া যাবে না। বয়স, শারীরিক অবস্থা ইত্যাদির উপরেই হাঁটার গতি নির্ভর করবে। ৬ মিনিট পরে যেখানে পৌঁছাবেন সেখানে চিহ্ন দিয়ে মেপে দেখুন কতটা দুরত্ব অতিক্রম করলেন।
চিকিৎসকদের মতে, ৬০ বছরের෴ নীচে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এই ৬ মিনিটে ৪০০-৭০০ মিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে প♊ারেন। এই সময়ের মধ্যে যদি ৭০০ মিটারের বেশি অতিক্রম করতে পারেন তা হলে বুঝতে হবে আপনার শরীর সুস্থ। হার্ট বা ফুসফুসের তেমন সমস্যা নেই।
যদি এর 🥀চেয়ে কম দূরত্ব অতিক্রম করেন তা হলে বুঝতে হবে কোনো না কোনো সমস্যা আছে আপনার শরীরে। সাধারণত যাদের হার্টের রোগ, ফুসফুসের সমস্যা অথবা ব্যথাজনিত সমস্যা আছে তাদের হাঁটার গতি কমে যাবে। ওজন বেশি হলেও এমন হতে পাไরে। যদি হাঁটার সময় বুক ধড়ফড় করে বা শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তা হলে বুঝতে হবে, সমস্যা গুরুতর। আর হাঁটার পরে শ্বাসকষ্ট হলে বুঝতে হবে ফুসফুসের অবস্থা খুবই খারাপ। তখন ফুসফুসের চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও বুঝা যাবে এই ৬ ��মিনিট হাঁটলে। ৬ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে পাল্স অক্সিমিটারে রিডিং নিতে হবে। যদি রিডিং ৯৩ শতাংশের কম আসে, তা হলে দ্রুত চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে। ৬০ বছরের বেশি বয়সিদের এই পরীক্ষা করা জরুরি। এতে হটাৎ ক♐রে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
সূত্র: আনন্দবাজার