সবকিছুরই নিয়ম আছে, এমনকি খাবার খাওয়ার সঠিক সময়েও। কেননা খাবার শুধু খেলেই হল না, কখন খাচ্ছেন তার ওপরও কিন্তু নির্ভর করে শরীরের ভালো-মন্দ। খাবার খাওয়ার পর, যতই কম খাবার হোক না কেন, তা হজম করতে শরীরের একটা নির্দিষ্ট সময় লাগে। তাই ঠিক সময়ে খাবার খেলে আপনার শরীর তা ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারবে। ফলে আপনি হয়ে উঠবেন স্বাস্থ্য-সবল। ইবনে সিনা ডায়াগনস💦্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না জানাচ্ছেন সকালের, দুপুরের এবং রাতের খাবার খাওয়ার সঠিক সময়।
সকালের খাবার
ডিনারের পর অনেকটা সময় শরীর খাবার পায় না। তাই সকালের খাবার অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট সকাল ৭-৮টার মধ্যে সেরে ফেলুন। যদি এ সময়ের মধ্যে সম্ভব না হয় তাহলে সকাল ১০টার মধ্যে সেরে ফেলুন। সকাল ১০টার পর যদি নাস্তা সারেন তাহলে তা কিন্তু আর ব্রেকফাস্ট থাকে না এবং দুপুরের খাবার খাওয়ার ওপর এর প্রভাব পড়ে। তখন আর দুপুরের খাবার বেলা ৩টার আগে করার ইচ্ছা জাগে না। ফলে শরীর ভাঙতে শুরু করে। তাই ব্রেকফাস্টটা সাড়তে হবে সময়ে। সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ব্রেকফাস্টের সময় নির্ধারণেඣর খুব সহজ একটা নীতি আছে। তা হচ্ছে, ঘুম থেক ওঠার ঠিক আধ ঘণ্টার মধ্যে ব্রেকফাস্ট সেরে ফেলা।
দুপুরের খাবার
প্রতিদিন দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টার মধ্যে দুপুরের খাবার অর্থাৎ লাঞ্চ সেরে ফেলতে চেষ্টা করবেন। যদি কোনোদিন দেরি হয়ে যায়, তাহলে চেষ্টা করবেন বিকাল ৪টার আগে যেন সেরে ফেলতে পারেন। আপনি যদি ঠিক সময়ে দুপুরের খাবার না খান তাহলে আপনার প🦹েটে হয়তো গুড়গুড় শুরু হয়ে যাবে। আর এ ধরনের অনুভূতি একেবারেই সুখকর নয়।
রাতের খাবার
ডায়েট মেনে চললে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে রাতের খাবার অর্থাৎ ডিনার সেরে ফেলা উচিত। আর যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে চেষ্টা করবেন ৯টার মধ্যে যেন খাওয়া হয়ে যায়। মনে রাখবেন, একটু দেরি হয়ে গেলে ক্ষতি নেꦗই। কিন্তু ডিনার সারতে হবে রাত ১০টার মধ্যে। আর রাতে ভাজাভুজি বেশি খাবেন না। এমনটা করলে দেখবেন ওজন বেড়ে যাচ্ছে।
এছাড়া ওজন বাড়াতে যদি না চান তাহলে ঘুমাতে যাওয়ার তিন ঘণ্টা আগে ডিনার স📖েরে নেবেন। যদি আপনি রাত ১০টায় ঘুমাতে যান, তাহলে ডিনার সেরে নেবেন ৭টার মধ্যে।