একটি শিশু যখন মায়ের পেটে থাকে তখন সে এক রকম পরিবেশে থাকে। যখন সে জন্ম নিয়ে পৃথিবীতে আসে, 🐭তখন সে এক ভিন্ন পরিবেশে আসে। সেই শিশু যখন জন্ম নেয় তখন সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই তাকে গোসলের জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। তাদের ধারণা, যত দ্রুত শিশুর শরীরের ময়লা পরিষ্কার করা যাবে🐻, ততই মঙ্গল। কিন্তু যেহেতু নবজাতক মায়ের পেট থেকে ভিন্ন পরিবেশে আসে, তাই তার গোসলে সতর্ক হতে হবে।
একটি শিশু জন্ম নেওয়ার পরই তাকে গোসল করানো উচিত নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে, স্বাভাবিক শিশুদের জন্মের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর গোসল করানো উচিত। তবে নবজাতক জন্মের কত দিন পর গোসল করাবেন, তা নির্ভর করবে মৌসুমের ওপর। সাধারণত গরমের সময় তিন দিন আর শীতের সময় পাঁচ দিন পর্যন্ত নবজাতককে গোসল বা শরীর মোছানো ঠিক না।
নরমাল কিংবা সিজারের জন্য আলাদা কোনো নিয়ম নেই। একটি বাচ্চার জন্ম যেভাবেই হোক না কেন, সুস্থ বাচ্চার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মই চলবে।
শিশু যদি অপরিণত বা কম ওজন হয়, সে ক্ষেত্রে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করা যেতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যথাযথ সময়ে গোসল করানো ভালো।
নবজাতককে দিনের মধ্যভাগে অর্থাৎ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে করাতে হবে। এ সময়ের তাপমাত্রা নবজাতকের জন্য সহনীয়।
দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতককে গোসল করানো ঠিক না। দ্রুত তাকে গোসল করিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে।
নবজাতককে যেকোনো সাবান দিয়ে গোসল করানো ঠিক না। তার ত্বকের জন্য উপযোগী সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাতে হবে। প্রতিদিন সাবান বা শ্যাম্পু দেওয়া ঠিক না। নবজাতকের ত্বক সংবেদনশীল। ঘন ঘন শ্যাম্পু দিলে তার ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।