বর্ষা মৌসুমে দই খাওয়া কি ঠিক?

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২২, ০১:৩০ পিএম

গরমে অনেকেই বাড়িতে দই রাখেন। শরীর ঠান্ডা রাখাতে প্রায় প্রতিদিন দই খাচ্ছেন। দেহের অন্ত্রের কার্যক্ষমতা ঠিক 🦋রাখতে দইয়ের জুড়ি নেই। এটি খাবার হজমের বিশেষ সহায়ক। কিন্তু অতিরিক্ত দই খেলে শরীরে নানা সমস্যাও হতে পারে। অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, দই যেমন শরীরের জন্য উপকারী, তেমনই নিয়মিত দই খেলে কিছু অপকারী দিকও থাকে। 

বিশেষজ্ঞরা জানান, গরমে প্রতিদিন দই খাওয়া ভালো। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি মেনেই দই খেতে হবে। বিশেষ করে ব🐲র্ষাকালে দই খেতে হলে মানতে হবে নিয়ম। কারণ বর্ষায় দই খেলে বাত ব্যথা বেড়ে যেতে পাড়ে। যা থেকে শরীরের অলসতাও দেখা দেয়। শরীরে শক্তি জোগানের চেয়ে দুর্বল করে তোলে। 

বর্ষামৌসুমে দই খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে এবং এটি খাওয়ার সঠিক নিয়ম কী তা নিয়েও𒅌 জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে আসি, কীভাবে দই খেলে স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে। 

ব্যথা বাড়ায়

বর্ষা মৌসুমে দই জয়েন্টের ব্যথা বাড়ায়। তাই আর্থ্রাইটিস রোগীদের দই খাওয়া এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম। বিশেষজ্ঞর জানানꦇ, দই শরীরে প্রদাহ এবং শ্লেষ্মা উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। তাই দই খেলে যদি ব্যথা বাড়ে তবে খাওয়ার পর দুই চামচের বেশি দই না খাওয়াই ভালো। তবে তা প্রতিদিনও খাওয়া চলবে না। 

ঠান্ডা এবং গলা ব্যথা

গরমে যাদের ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে তারা দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন। দই শরীরকে আরও ঠান্ডা করে দেয়। তাই গলা ব্যথা😼, সর্দি, কাশি আরও বেড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, দই ঠান্ডা খাবার। তাই  বর্ষাকালে দই কম 🐷খাওয়াই ভালো। তাছাড়া যাদের সাইনাস, কনজেশন এবং ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে তারা দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এতে সমস্যা আরও বাড়বে।

বর্ষাকালে দই খাবেন যেভাবে

বর্ষামৌসুমে গরমও থাকে। তাই শরীর ঠান্ডা রাখতে দই একেবারেই না খেলে নয়। তবে সঠিক উপায়ে দই খেলে𝓀 কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে ভুল খাবারের সঙ্গে দই খাওয়াও বিপদজ্জনক হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। 

  • বর্ষা মৌসুমে দই খেতে হলে এক চিমটি ভাজা জিরে গুঁড়ো, কালো মরিচ এবং কালো লবণ মিশিয়ে খাবেন। এতে দইয়ের ঠান্ডাকে ব্যালেন্স করে। যা হজম এবং অন্ত্রের জন্য ভালো হয়। 
  • বর্ষা মৌসুমে দই খেতে হলে এর সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে নিতে পারেন। তাছাড়া শুকনো ফল মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
  • বর্ষা মৌসুম কিংবা অন্য কোনও সময়েও দইয়ের সঙ্গে প্রোটিন খাবার এবং সাইট্রিক খাবার খাবেন না। এতে অ্যাসিডর সমস্যা বাড়বে। বিশেষ করে আলসার রোগীদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
  • রাতে ভুলেও দই খাবেন না। এতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। রাতে খেলে দই সহজে হজম হবে না। এতে যেমন ঘুমের সময় অস্বস্তি বোধ হবে, পেটেরও সমস্যা দেখা দেবে।