বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনায় পড়ে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে যেতে পারে। তখন রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়। কেটে যাওয়ার সঙ্গে স💝ঙ্গে ব্যব🔥স্থা না নিলে বড় বিপদ হয়। এমনকি রক্ত ক্ষরণ হতে হতে তার মৃত্যুও হতে পারে। তাই কোথাও কেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে।
কেটে গেলে কী করবেন তা নিয়ে ফেসবুকে একটি🉐 ভিডিও প্রকাশ করেছেন ড. তাসনিম জ🐷ারা। চলুন জেনে নেই-
কাটা জায়গায় সঙ্গে💎 সঙ্গে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে নিতে হবে। এভাবে টানা ১০ মিনিট ধরে রাখতে হবে। এসময় কাটা জায়গাটা উপওরে তুলে রাখতে হবে। তাতে রক্ত চলাচল কমে গিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।
তারপরও যদি রক্ত পড়া বন্ধ না হয় তাহলে কাটা জায়গায় আরেকটা কাপড় দিয়ে ধরে রাখবেন। এরপর ♎কাটা জায়গাটি শক্ত করে হাত দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে রাখবেন ১০ মিনিট। এই সময় বারবার দেখতে যাবেন না🌜 রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছে কি না। তাতে কাটা জায়গার চাপ কমে যায় ফলে রক্ত পড়া বন্ধ হতে সময় লাগে।
তারপরও যদি রক্ত পড়া বন্ধ না হয় বা ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ে তাহলে নিকটস্ত♎ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
যদি রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় তাহলে দ্বিতীয় কাজ হলো কাটা জায়গা পরিষ্কার করা। এ ক্ষেত্রে প্রথমে সাবান পানি দিয়ে হাত ভ🅷ালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন। তারপর কাটা জায়গাটা পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নেবেন। কাটা জায়গার আশপাশে যদি ধুলাবালি থাকে তাহলে তা সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নেবে। তবে এসময় খেয়াল রাখবেন যাতে কাটা জায়গায় সাবান না যায়। সাবান গেলে কাটা জায়গা খুব জ্বালা করবে। ধোয়ার পর কাটা জায়গা একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভালো করে চেপে চেপে মুছে শুকিয়ে নেবেন। তারপর সম্ভব হলে এন্টিসেপটিক ক্রিম কাটা জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। আবার পেট্রোলিয়াম জেলিও ক্ষতস্থান সেরে উঠতে কার্যকর।
কাটা জায়গায় যাতে বাইরের ধুলাবালি ও রোগজীবাণু প্রবেশ করতে না পারে তাই পরের কাজ হলো ব্যান্ডেজ করা। 🦄প্রতিদিন ব্যান্ডেজ পাল্টে ফেলতে হবে। তারপর আবার কাটা জায়গা পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে নিতে হবে।
ব্যথা কমানোর ওষুধ: ব্যথা হলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। যারা প্রাপ্ত বয়স্ক তারা দিনে ২টি ট্যাবলেট ৪-৬ ঘন্টা পর পর খেতে পারেন। তবে দিনে ৮টির বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না। আরেকটা ওষুধ হলো আইবোপ্রোফেন খেতে পারেন। প্রাপ্ত বয়স্করা ৪০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট দিনে তিন বার খেতে পারেন। তবে এই ওষুধ ভরা পেটে খেতে হয় সঙ্গে ওমোপ্লাজল জ🥂াতীয় ওষুধ খেতে হবে। তারপরও যদি ব্যথা না কমে বা জ্বর আসে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কখন হাসপাতালে যেতে হবে