দেশের অন্যতম ব্যস্ত নগরী চট্টগ্রাম। বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ဣদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই শহর থেকেই উঠে এসেছেন আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, তামিম ইকবালদ🐭ের মতো দেশসেরা ক্রিকেটাররা। অথচ সেই শহরের ক্রিকেটাররাই এখন পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপে পোড়েন।
ঢাকায় প্রথম পর্ব শেষে বিপিএল এখন চট্টগ্রামে। জাকজমক বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মাঠে গড়ালেও শান্তি নেই স্থানীয় ক্রিকেটারদের মনে। সরেজমিনে গিয়ে সংবাদ প্রকাশ দেখতে পায়, চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশে ছোট্ট একটু জায়গায় অনুশীলন করছেন কয়♔েকজন ক্রিকেটার।
প্রথমে দেখে একটা একাডেমি মনে হলেও পরে জানা গেলো, অন্তত তিনটা একাডেমি অনুশীল করে এখানে। দেখে বোঝার উপায় নেই, কখন কোন নেটে কোন একাডেমির ব্যাটার ব্যা🀅টিং করছে।
অনুশীলন শেষ করে ফেরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কিশোর ক্রিকেটার আক্ষেপ করে বলেন, অনুশী🐎লনেরই সুযোগ পাই না বড় কোথাও ভালো খেলবো কিভাবে। হাত দেখিয়ে বলেন, ‘দেখেন নেটের কি অবস্থা (নেটে বড় ছিদ্র দেখায়ে)। বড় শট খেললেই তো বল বাইরে চলে যায়, পরে সেটা ফেরত আনা আরও কষ্টসাধ্য।’
বিকাল হলে ওই জায়গার ♓বাইরে স্টেডিয়াম কর্তাসহ বাইরের লোকের গাড়ি রাখা থাকে। ফলে বড় শট খেললেই ওই গাড়িতে আঘাত করার ভয় থাকে। এজন্য ভয়ে ব্যাটারদের বড় শট খেলতে নিষেধ করেন কোচরা। আক্ষেপের সুরে ওই ক্রিকেটার বলেন, মন খুলে একটা শটও খেলতে পারি না।
এমনকি বোলারদের রীতিমতো চোটের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিনিয়ত বোলিং অনুশীলন করতে হয়। ওই 🎃ক্রিকেটার বলেন, এখানে বোলারদের ল্যান্ডিং করার যে জায়গা সেটা এতটাই বাজে যে কোনো সময় বোলাররা ইনজুরিতে পড়তে পারেন। সেই ইনজুরিতে ক্যারিয়ার তো বটেই, স্বাভাবিক জীবন যাপনেও বাঁধা আসতে পারে ব🐻লে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আর এক ক্রিকেটার বলেন, বাংলাদেশে নাকি টি-টোয়েন্টিতে হার্ড হিটার খুঁজে পায় না। তো অনুশীলনে যদি বলে বড় শট খেলবে না, উপরে মারবে না তাইলে হার্ডহিটার বের হবে কিভাবে? তিনি আরও প্রশ্ন ছুড়ে দেন, কেউ যদি ছোট থেকে হিট না করতে পারে তাহলে বড় হয়ে কিভাবে হ✱িট করবে? 🐎এতই সহজ সব!
কেন এত ছোট জায়গায় এত একাডেমি অনুশীলন করছে জিজ্ঞাসা করলে, ওই ক্রিকেটার বলেন মাঠ কোথায় যে তারা ফাঁকা ফাঁকা অনুশীলন করবে! চট্টগ্রামে মাঠের অভাবের আক্ষেপ শোনা গেল তার কণ্ঠে। তবে আরও আক্ষেপ করেন তিনি, যে মাঠ আছে সেগুলোতেও অনুশীলনের সুযোগ না পেয়🌌ে।
ওই ক্রিকেটার বলেন, চট্টগ্রামে এমনিতেই মাঠে খুবই অভা🌞ব✱। নিজেদের মতো করে অনুশীলনের মাঠের বড্ড অভাব। অথচ সেখানে যে মাঠগুলো আছে সেখানে খেলা বা অনুশীলন নয় বছর জুড়ে বেশিরভাগ সময়ে কোনো না কোনো মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। পাশ থেকে এক ক্রিকেটার তো মজা করে বলেন, চট্টগ্রামের মাঠে ১২ মাসে ১৩ পার্বন হয়, খেলা নয়।
চট্টগ্রামে উল্লেখযোগ্য মাঠের মধ্যে মহিলা কমপ্লেক্স ও সার্কিট হাউজ অন্যতম। তবে সেখানে নির্দিষ্ট একটা একাডেমি ও জেဣলা দলের বাইরে কারও অনুশীলনের সুযোগ মেলে না। ভাড়া দিয়েও কেন অনুশীলনের সুযোগ পাওয়া যায় না এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য কিছু বলতে রাজি হলেন না এই ক্রিকেটার। জোরাজুড়ি করলে এক পর্যায়ে বলেন, তিনি আসলে জানেন না। তবে জানেন না নাকি বলতে ভয় পাচ্ছেন সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই গেল।
তবে ম🥃াঠ সংকট এবং পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ না থাকলেও চট্টগ্রামে ফার্স্ট, সেকেন্ড ও থার্ড ডিভিশন লিগ নিয়মিত হয় বলে জানান ওই💎 ক্রিকেটার। তবে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, লিগে ভালো করার জন্য যদি পর্যাপ্ত অনশীলনের সুযোগই না পায় তাহলে লিগে ভালো করবে কিভাবে আর লিগ হয়েই বা তখন লাভ কি!