বাংলাদেশ ফুটবলে শেষ কবে এইরকম উল্লাস হয়েছিল? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে ফিরতে হবে সেই ২০০৩ সালে। সেবার ছেলেদের হাত ধরে দেশে এসেছিল সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। এবার মেয়েদের হাত ধরে এসেছে একই শিরোপা। সেই শিরোপা জয়ের উল্লাসে ভাসছে পুরো দেশ। সঙ্গে সাফজয়ী নারীদের একের পর এক𒐪 ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেছে ফুটবল ফেডারেশন থেকে সাধারণ সমর্থকরা। দেশের ফুটবলে নিশ্চয় বড় এক অর্জন এনে দিয়েছেন সাবিনা-সানজিদারা।
২০০৩ সাফ জয়ের পর ﷽আস্তে আস্তে ঝিমিয়ে পড়তে শুরু করেছিল বাংলাদেশের ফুটবল। সময়ের পরিক্রমায় ফুটবল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন দেশꦉের জনগণ। সেই ঝিমিয়ে পড়া ফুটবলে সুদিন ফিরবে এমনটাই আশা ছিল। সেই আশার পালে হাওয়া দিয়েছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল।
মেয়েদের সাফ জয়ের পর আবারও খোঁজ-খবর রাখা শুরু করেছে সবাই। তাই বিমানবন্দরজুড়ে দেখা মিলেছে অসংখ্য সমর্থকের। যারা কি🌞-না দূর-দূরান্ত থেকে বিমানবন্দরে এসেছে মেয়েদের শুভেচ্ছা জানাতেই।
বেলা ১২ টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পা রাখার কথা ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ায় তা বাংলাদেশের মাটি স্পর্শ করে দুপুর 💟দুইটার দিকে। অবশ্য এর বহু আগে থেকেই হজরত শাহজালাল আন🎃্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে অবস্থান নেন সংবাদকর্মী, বাফুফে কর্মকর্তা ও সমর্থকরা।
সংবাদ সম্মেলন শেষ করে সাবিনা-সানজিদা ভিআইপি টার্মᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚ🐟ᩚিনাল থেকে বের হয়ে উঠেন তাদের স্বপ্নের ছাদখোলা বাসে। যেটার আশা কখনই করেননি সাবিনা-সানজিদারা।
কাঠমা♑ণ্ডুতে ফাইনালের আগে তারকা ফুটবলার সানজিদা এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছিলেন, “ছাদখোলা বাসে শিরোপা উৎসব নয়, সমাজের কাছ থেকে সমর্থন চান। তাদের এই অর্জনে সমাজ হয়তো বদলাবে, মেয়েদেরকে ফুটবলে আসতে আরও বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবে।”
পরিবর্তনটা আসবে কি-না সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও 🐻কিছুদিন। তবে ছাদখোলা বাসের শিরোপা উৎসবটা ঠিকই করতে পারছেন বাংলাদেশ নারী দলের ফুটবলাররা।
বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার আগে সেখানেই ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করা হয় সাবিনা-কৃষ্ণাদের। সেখানে বাফুফে কর্মকর্তারা তাদের করান মিষ্টিমুখ। নিজেদের এই সাফল্যে সিক্ত হওয়ার পরও শিরোপা নিজেদের গণ্ডিতে আটকে রাখতে নারাজ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।