ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতার মুরোদ নেই: এমবাপ্পে

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২২, ০১:২২ পিএম
ছবি সংগৃহীত

লাতিন আমেরিকা ফুটবলের অন্যতম পরাশ💧ক্তির দল ব্রাজিল ও আর্🌱জেন্টিনা। বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৫ বার বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র দল ব্রাজিল। আর শিরোপার হিসাবে ব্রাজিলের ধারে কাছে না থাকলেও বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক দল। সেই ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনারই নাকি বিশ্বকাপ জেতার মুরোদ নেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্যই করে বসেছেন ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে!

গত ২০১৮ সালে রাশিয়ায় নিজের প্রথম বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন হয় এমবাপ্পের ফ্রান্স। এবার কাতার বিশ্বকাপেও শিরো🅠পার জন্য হট ফেভারিট ধরা হচ্ছে ফরাসিদের। সেই এমবাপ্পেই সম্প্রতি ব্রাজিলিয়ান সংবাদ মাধ্যম টিএনটি ব্রাজিলকে জানিয়েছেন,꧟ ব্রাজিল আর্জেন্টিনা শিরোপা জেতার মতো খেলে না!

তিনি বলেছেন, ‘‘🧸বিশ্বকাপ জেতার মতো উঁচু মানের ফুটবল খেলে না আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা। এছাড়া ইউরোপের ফুটবলের মতো উন্নত কোনো ঘরানার ফুটবল নেই তাদের। আপনি বিগত বিশ্বকাপগুলো দেখলেই বিষয়টি বুঝবেন।’’

দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চল থেকে সবশেষ ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। এরপর ২০১৪ সালের আসরেই শুধু আর্জেন্টিনা ফাইনালে খেলেছে। এর আগের দুই (২০০৬ ও ২০১০) আর পরের এক বিশ্বকাপে (২০১৮) ফাইনাল হয়েছে দুই ইউরোপীয় দলের মধ্যে। সে কারণেই ইউরোপিয়ান ফুটবলকে শ্রেয়তর মন🅰ে হয়েছে এমবাপ্পের।

ফরাসি এই ফরোয়ার্ডের কথার সঙ্গে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পারফর্মেন্সের বাস্তবতারও মিল রয়েছে। ২০০৬ থেকে ২০১৮ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ইউরোপীয় দলগুলোর বিপক্ষেই শিরোপ-স্বপ্ন শেষ হয়েছিল তাদের। ব্রাজিল ২০০৬ সালে ফ্রান্সওের কাছে, ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডস, ২০১৪ সালে জার্মানি ও গেলবার বেলজিয়ামের কাছে নকআউট পর্বে হেরে বিদায় নেয়।

আর আর্জেন্টিনা ২০০৬, ২০১০, ২০১৪ সালে হারে জার্মানির কাছে, আর গেলবার এমবাপের ফ্রান্সের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন𝐆 শেষ হয় মেসির আর্জেন্টিনার।

তবে নিজেদের ইউরোপীয় ফুটবলকে শ্রেয়তর মনে করা✱র আরও কারণ জানিয়েছেন এমবাপ্পে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউরোপীয় অঞ্চলের ফরম্যাটে একটু পা হড়কালেই ফুটবলের বিশ্বআসরে খেলা নিয়ে জাগে সংশয়। এবার যেমন পর্তুগাল ছিটকে যেতে যেতে বাছাইপর্ব পার হয়েছে। আর ইতালির তো বিদায়ঘণ্টাই বেজে গেছে আগেভাগেই। বাছাইপর্বের এমন ফরম্যাটের কারণে দলগুলোর স্নায়ু꧒র পরীক্ষাও হয় ভালোভাবে।

এমবাপ্পেড় কথা, ‘উয়েফা নেশন্স লি♍গটা এর একটা উদাহরণ বলতে পারেন। আমরা তাই বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই যাব।’