দেশের সবচেয়ে বড় ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসর মানেই উত্তেজনায় ছড়ানো। তবে কখনো কখনো মাঠের বাহিরের উত্তেজনা ছাপিয়ে যায় মাঠের উত্তেজনাকেও। সম্প্রতি শেষ হওয়া বিপিএলের অষ্টম আসরও বেশ কিছু বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। তবে মেহেদী হাসান 🐠মিরা☂জ, তাসকিন আহমেদ কাণ্ডের পর নাসুম আহমেদও বিতর্কের অংশ হয়ে যান।
বিপিএলে এবারের আসরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলে যোগ দিয়েছিলে🐓ন নাসুম। এই ক্রিকেটার দ♊াবি করেছেন, চুক্তি অনুযায়ী যথার্থ পারিশ্রমিক পাননি তিনি।
নাসুম অভিযোগ করে জানিয়েছ෴িলেন, তাকে চট্টগ্রাম পারিশ্রমিকের টাকা তো দেয়নি, উল্টো ফোনও রিসিভ করেনি। তবে চ্যালেঞ্জার্সের কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে তার পারিশ্রমিক সবটাই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাসুমের এই অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
এই বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে নাসুমের দাবি ভিত্তিহীন বলে জানায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚকর্তৃপক্ষ। এমনকি তারা শতভাগ টাকা পরিশোধের তথ্য প্রমাণ বিসিবির কাছে পাঠিয়েছে বলেও উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
সুহৃদ, আস-সালামু আলাইকুম। পবিত্র রমজান মাসে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা নেবেন। আপনারা অবগত আছেন যে, তরুণ প্রতিভা নাসুম আহমেদকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স নিজেদের আইকন ক🙈্রিক🅷েটার হিসেবে মনোনীত করে। এই স্পিনার সপ্তম আসরেও আমাদের দলে খেলেছেন। সে কারণে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের নিময় অনুসারে তাকে আমরা (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) সরাসরি সাইনিংয়ের মাধ্যমে দলে নিয়েছি।
তাকে নেওয়ার মূল উদ্দেশ্যে ছিল তরুণ এই প্রতিভাকে প্রমোট করা। তাকে দেখে যেন দেশের আরও তরুণ ক্রিকেটাররা উৎসাহ পায়, সেটিই ছ🐟িল আমাদের স্বপ্ন। তবে সম্প্রতি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে জড়িয়ে তার কিছু অসত্য ও আপত্তিকর বক্তব্য আমাদেরকে দারুণভাবে মর্মাহত করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের নিয়ম মেনে আমরা নাসুম আহমেদের সঙ্গে লিখিত চুক্তি সম্পন্ন করি।
চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে সেই চুক্তির সময় (২২-১২-২০২১) বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল তার (নাসুম) ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করেনি। সে কারণে চুক্তিপত্রে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। শুধু তাই নয়, সে সময় তিনি নির্🔯দিষ্ট কোনও পারিশ্রমিকের দাবিও করেননি। পরবর্তীতে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল তার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ায় চুক্তি মোতাবেক আমরা পারিশ্রম🐻িকের শতভাগ টাকা তিনটি কিস্তিতে ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করেছি। সবশেষ কিস্তি দেওয়া হয়েছে ১০ মার্চ ২০২২ | শুধু তাই নয়, নিয়ম অনুসারে তার ভ্যাটের টাকাও পরিশোধ করেছি। এবং নাসুম আহমেদকে আমরা ট্যাক্স রিটার্ন বুঝিয়ে দিয়েছি। তাকে পরিশোধ করা অর্থের পরিমাণ ৩৫ লক্ষ টাকা (ভ্যাটসহ)।
এখানে উল্লেখ্য, সপ্তম আসরে তিনি ৫ লক্ষ টাকায় চ্যালেঞ্জার্সে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। যদিও নাসুম আহমেদ সরকারি এই ভ্যাটের টাকা তার কাছ থেকে না কেটে আমাদেরকে (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু আ꧂মরা বিপিএলের নিয়ম মেনে তার সেই অনুরোধ রাখতে পারিনি। কারণ ভ্যাটের টাকা পরিশোধ করবে ক্রিকেটার নিজেই। এমন অবস্থায় বর্তমানে তিনি যে অতিরিক্ত পাওনার দাবি করছেন, তা আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। শুধু তাই নয়, তিনি সংবাদমাধ্যমে চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে যে প্🍌রতারণার দাবি করেছেন তাও অসত্য।
আমাদের প্রশ্ন, যদি তাকে আমরা চুক্তির চেয়ে কম টাকা দিয়ে থাকি তাহলে তা কেন সেই সময় বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে বিষয়টি অবগত করেননি। এছাড়াও তিনি কোভিড-১৯ প্রসঙ্গে যে অভিযোগ এনেছেন, তাও তিনি সেই সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেননি। আমরা তাকে সেই সময় দলের আরেকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে থাকতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু সেই ক্রিকেটারের সঙ্গে তিনি থাকতে রাজি ꦛহননি। আপনারা জানেন যে, অধিনায়ক ছাড়া দলের বাকি ক্রিকেটাররা রুম শেয়ার করেই থাকে।
বিপিএলের অষ্টম আসর শেষ হওয়ার অনেকটা সময় পরে হঠাৎ তার এমন দাবি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে। আমরা জাতীয় দলের এই তরুণ ক্রিকেটারের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স পরিবার নাসুম আহমেদকে সব রকম সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছে। এমনকি আসর চলার সময় তাকে স্ত্রীসহ টিম হোটেলে থাকারও ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বো😼র্ড ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে বিষয়টি এরই মধ্যে ইমেইল করে লিখিতভাবে জানিয়েছি। শুধু তাই নয়, দ্রুতই আমরা বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করতে অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি দিবো। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা বিসিবির কাছে আমাদের অনু🃏রোধ বিষয়টি যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থার নেওয়ার।