পꦛঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ডিএসএল প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল-২০২৫)। প্রতি বছর জাকজমকপূর্ণভাবে এই আন্তঃদল ক্রিকেট টুর্নামেন্টটি 🐎আয়োজন করে তৈরি পোষাক কোম্পানি ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স লিমিটেড (ডিএসএল)।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) র𒁏াজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ পুলিশ ক্রিকেট স্⛦টেডিয়ামে এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেয় ডিএসএলের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের কর্মকর্তা ও কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত তিনটি দল।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। কিং লায়নস, সুপার ঈগলস ও রয়েল টাইগার্স নামের প্রতিটি দল দুইটি করে ম্যাচ খেলে এবং একটি করে ম্যাচে জয়ী হয়। পরে রান রেটের হিসাব করে বিকালে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামে কিং লায়নস এবং রয়েল টাইগার্স। দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে তাক লাগিয়ে চ্যাম্পিয়নের ঘরে পৌঁছ🌠ায় টিম রয়েল টাইগার।
প্রতি বছ🗹রের মতো এবারও টুর্নামেন্টের আয়োজন করায় ডিএসএলকে ধন্যবাদ জানিয়ে রয়েল টাইগারের ক্যাপ্টেন আরাফাত হোসেন বলেন, “আমরা এবার নিয়ে চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। একবার আমরা পারিনি। অবশ্য প্রতিবার আমিই ক্যাপ্টেন ছিলাম। আর প্রতিবারই আমাদের টিমের মধ্যে কেউ না কেউ ভালো খেলে। চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। এই ট্রফি আমার বা আমার টিমের কারও না, এই ট্রফি ডিএসএল গ্রুপের সকল সদস্যদের।”
প্রথমেই পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে মনোবল হারিয়ে ফেলেছিল টিম কিং লায়ন। পরবর্তীতে টিমের কেউ আর ভালো খেলতে পারেনি বলে জানিয়েছেন রানা🔯র্স আপ টিমের ক্যাপ্টেন মনিরুল হাসඣান বাদল। তিনি বলেন, “আমরা আসলে ভালো খেলার প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। কিন্তু রয়েল টাইগার যে এত ভালো খেলবে বুঝতে পারিনি। সত্যিই তারা ভালো খেলেছে। আগামীতে আবার টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হলে অবশ্যই আমরা সেখানে ভালো করার চেষ্টা করব।”
খেলা শেষে বিজয়ী দলের হাতে ডিপিএল- ২০২৫ এর কাপ তুল🐠ে দেন ডিএস𝔉এলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আয়েশা আক্তার মনি। পাশাপাশি ম্যান অব দ্য ম্যাচসহ অন্যান্যদের সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
ডিএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আয়েশা আক্তার মনি বলেন, “কর্মস্থলে মানুষ যখন দীর্ঘ সময় অফিস করে ব্যস্ত সময় পার করে, তখন একঘেয়েমী জীবন থেকে হাফ ছেড়ে বাঁচার একটা বিষয় আছে। আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, প্রতি বছর ডিএসএল গ্রুপ কর্মীদের নিয়ে টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। সারা দিনের একটা গেট টুগেদার হয়। আমরা এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করি। এতে আম⛦াদের সকলের মধ্যে একটা বন্ধন তৈরি হয়, একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। আমাদের গ্রুপের মধ্যে সবার সঙ্গে একটা পারিবারিক পরিবেশ বজায় থাকে। মূলত আমাদের কর্মীরাই এসব আয়োজন করে আমাদের ইনভাইট করে। আমরা তাদের সঙ্গে জয়েন করি। এতে তাদের কর্মস্পৃহা বাড়ে।”
ডিএসএলের পরিচালক রাশেদুল হাসান মাসুদ বলেন, “আমরা বেশির ভাগ সময়ই কাজের মধ্যে থাকি। সেক্ষেত্রে নিজেদের রিফ্রেশমেন্টের জন্য একটু খেলাধুলা করতেই হয়। আমাদের কর্মীরাই এই খেলার আয়োজন করে। আমরা তাদের সঙ্গে থাকি। খেলাধুলা শুধু শারীরিক না, কাজের পাশাপাশি মানস꧋িক গঠনেও সাহায্য করে।”
খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার আপ 🌱টিমের সদস্যদের হাতে ট্রফি তুলে দেন ডিএসএল গ্🦂রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।