প্রথম ধাপে চারটি স্কুলে বাস চালু করতে যাচ্ছে ডিএনসিসি

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২, ০৯:৫৬ পিএম

ঢাকা শহরে স্কুলবাস চালু হলে ব্যাপক🧸 হারে যানজট কমে যাবে, এর ফলে দূষণ কমবে ও কার্বন নিঃসরণও অনেকাংশে কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, “আমরা অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলছ🔜ি। অনেক শিক্ষকরা একমত পোষণ করেছেন। এটি বাস্তবায়নে অভিভাবকদের সদিচ্ছাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সবার আন্তরিক সহযোগিতায় প্রথম ধাপে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকার চারটি স্কুলে পাইলট প্রকল্প হিসেবেꦍ স্কুলবাস চালু করা হবে।”

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার স্কুলগুলো🌠তে স্কুলবাস সার্ভিস প্রꦰবর্তন সংক্রান্ত প্রাথমিক কর্মকৌশল নির্ধারণ বিষয়ক সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।

সভাপতির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, “অনেক স্কুলে দেখা যায় একজন শিক্ষার্থীর জন্য একটি গাড়ি ব্যবহার করা হয়। এর ফলে অসংখ্য প্রাইভেট গাড়ি রাস্তায় চলাচল করছে। স্কুলগুলোতে বাধ্যতামূলꦕকভাবে স্কুলবাস চালু হলে প্রাইভেট গাড়ির ব্যবহার ব্যাপকহারে কমে যাবে। ছেলে-মেয়েরা অনেকে একসঙ্গে বাসে যাওয়া আসা করলে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হﷺবে, সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হবে। ছেলে-মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী হবে। তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।”

ছেলে-মেয়েদের নিরাপত্তা বিষয়ে এক অভিভাবকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, “সন্তানরাই মা-বাবার সবচেয়ে মূলবান 🌌সম্পদ। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলবাসগুলোতে সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অ্যাপসের মাধ্যমে ট্র‍্যাকিং ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তা ও স্কুলবাসের চালক ও স্টাফদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। একটি হটলাইন নম্বর থাকবে যেটির মাধ্যমে অভিভাবকরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারবে।”

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, “অনেক পরিবারে মা-বাবা দুজনেই চাকরিজীবী। তাদের যেন ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আসা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করতে হয় সেক্ষেত্রে নিরাপদ স্কুলবাসই চমৎকার সমাধানꦅ হ🦹বে। সময়, নিরাপত্তা ও খরচ সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই বাস সার্ভিসটি চালু করা হবে। আমরা চাই একটি টেকসই সমাধান হবে।”

বাস রুট নির্ধারণের বিষয়ে আরেক অভিভাকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, “সকল শিক্ষাꦏর্থীদের বাসার ঠিকানা অনুযায়ী বাস রুট নির্ধারণ করা হবে। রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে একটি বাসে নির্দিষ্ট রুটের স্🍷কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করবে। এর ফলে খরচ অনেক কমে আসবে।”

মেয়র আরও বলেন, “শুরুতে ইংলিশ মিডিয়া🐻ম স্কুলে চালু হবে, পর্যায়ক্রমে সব স্কুলেই বাস সার্ভিস চালু করা হবে।”

আতিকুল ইসলাম বলেন, “এটির সফল বাস্তবায়নে মাইন্ডসেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অভিভাবকদের। স্কুলবাস সার্ভিস বাধ্যতামূཧলক করা হলে স্কুলের ১০০ গজের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বহন করা ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশ করতে দে♔ওয়া হবে না।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল𓆏 ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, চিটাগং গ্রামার স্কুল-ঢাকার প্রিন্সিপাল আছিয়া আলম চৌধুরী, স্কলাস্টিকা স্কুল, মিরপুর শাখার প্রিন্সিপাল নুরুন নাহার মজুমদার, স্যার জন উইলসন স্কুলের প্রিন্সিপাল সাবরিনা শাহেদ, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটরিয়ালের প্রিন্সিপাল লুবনা চৌধুরী প্রমুখ।