ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা। দুই পক্ষের❀ মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এ সময় ককট🌃েল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
সোমবার রাতভর সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা দিকে ফের শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। এ ঘট꧂নায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় মিরপুর রোডে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাইন্সল্যাবের দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। 🥂তবে নিউমার্কেটের দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
নিউমার্কেটের দিকে ব্যবসায়ীরা𒉰 অবস্থান নিয়েছেন এবং ঢাকা কলেজের দিকে, অর্থাৎ সায়েন্স ল্যাবের দিকে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে প্রতিপক্ষকে আক্রমণের চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে গাউসিয়া মার্কেটের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তবে এ অগ্নিকাণ্ড কীভাবে ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঢাকা কলেজের ছাদ থেকে শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেটের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ছেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরওাও মার্কেট ভবনের ছাদ থেকে ঢাকা কলেজের দিকে ইটপাটকেল꧑ ছুড়ছেন। একটু পরপর ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
এর আগে সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে ব্যবসায়ী✅দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা চলে ভোর পর্যন্ত।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজের মাস্টার্সের দুই শিক্ষার্থী রাত ১২টার দিকে নিউমার♛্কেটে কেনাকাটা করতে যান। কেনাকাটা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে, এমন খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে নিউমার্কেট এলাকায় যান ঢাকা কলেজের একদল শিক্ষার্থী। পরে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
নিউমার্কেট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাহেব আলি বলেন, “রাত ১২টার দিকে ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ব্যব✃সায়ী ও ছাত্রদের দুই দিকে সরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু কলেজ প্রান্ত থেকে ছাত্ররা ইট-পাটকেল ছুড়ে মারছে।”
সংঘর্ষ বাধার কারౠণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কী কারণে এই সংঘর্ষের সূত💃্রপাত হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা এখনো নিশ্চিত নই।”
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সꦦিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, “আমরা কোনো রাবার বুলেট নিক্ষেপ করিনি। আমরা শুধু টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছি। আমাদের বাহিনীকে সে রকমই নির্দেশ দেওয়া ছিল। যেহেতু রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হয়েছে অবশ্যই আমরা আইনগত ব⛄্যবস্থা নেব।”