নিউমার্কেট খুলতে না দেওয়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২২, ০৮:৩০ এএম

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর নিউমার্কেট খুলতে না দেওয়ার ঘোষণা দিꦫয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার ♏(১৮ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়, যা চলে ভোর পর্যন্ত।

এদিকে সংঘর্ষের একপর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে টিয়ারগ্যাস ছোড়ে পুলিশ। অবশ্য, শিক্ষার্♓থীদ🅷ের দাবি, ছাত্রদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি ছুড়েছে।

পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর রাত📖 আড়াইটার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্꧅যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় তারা পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে তাদের অনেকেই আহত হয়েছেন।

ঢাকা কলেজের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় ব꧙র্ষের শিক্ষার্থী মাহবুব জানান, তিনজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনার শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত নিউমার্কেট খুলতে দেওয়া হবে না।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজের মাস্টার্সের দুই শিক্ষার্থী রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে যান। কেনাকাটা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে, এমন খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে নিউমার্কেট এলাকায় যান ঢাকা কলেজের একদল শিক্ষার্থী। পরে ব𓂃্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

নিউমার্কেট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাহেব আলি বলেন, “রাত ১২টার দিকে ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের দুই দিকে সরিয়ে দিয়েছি💯। কিন্তু কলেজ প্রান্ত থেকে ছাত্ররা ইট-পাটকেল ছুড়ে মারছে।”

সংঘর্ষ বাধার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কী কারণে এই স﷽ংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা এখনো নিশ্চ💎িত নই।”

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শরীফ𓂃 মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, “আমরা কোনো রাবার বুলেট নিক্ষেপ করিনি। আমরা শুধু টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছি। আমাদের বাহিনীকে সে রকমই নির্দেশ দেওয়া ছিল। যেহেতু রাষꦡ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হয়েছে অবশ্যই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

এদিকে এ ঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা কলেজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে অধ্যক্ষের বরাতে একটি ঘোষণা দেয়া হয়। এ ঘোষণা বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে ১৯ এপ্রিল মঙ্গলཧবার ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স শ্রেণির সব ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করা হলো। সব শিক্ষককে সকাল ১০টার মধ্যে কলেজে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

আরও সংবাদ