‘বিচার বিভাগে মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে নারীরা’

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২২, ০৮:০৪ পিএম
ফাইল ছবি

বিচার বিভাগে নারীদের সংখ্যাই শুধু বাড়েনি; তারা সেখানে মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি আরও বলেন, “মামলা জট কমানো এবং বিচারপ্রার্থী মানুষকে অল্প সময়ে ন্যায়বিচার দিতে পারলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্ౠ𓆏থা বাড়বে। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা অনেকটা এগিয়ে যাব। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।”

শনিবার (২ এপ্রিল) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে মহিলা জಌজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা অনু🍰ষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বিচারকদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, “হয়রানিমূলক মামলা কমিয়ে মানুষকে বিচারিক সেবা নিশ্চিত করা আপনাদের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে দেওয়ানি মামলায় যেহেতু দীর্ঘ সময় লেগে যায়, সেটা কীভাবে এক, দেড় বছরে শেষ করা যায়, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমার মনে হয়, কোড অব প্রসিডিউর যদি সঠিকভাবে অনুসরণ করি, তাহলে এটা করা সম্ভব।&r🎉dquo;

মামলা জট প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, “সিআর মামলা হওয়ার পরে কতগুলো মামলাটি তদন্ত পর্যায় আছে। সেগুলো আমরা পৃথক করতে পারি। তাহলেও দেখা যাবে মামলা সংখ্যা ক🏅মে যাবে। এ ছাড়া হাইকোর্টেও অনেক মামলা আছে, যেখানে দেখা যায় রুল অকার্যকর হয়ে আছে। অথচ বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় মামলার সংখ্যা হিসেবে দেখাচ্ছে। এসব মামলা যদি ঝেড়ে ফেলে দেওয়া যায় তাহলে এখন যে ৩৯ লাখ মামলা সংখ্যা দেখাচ্ছে, তার থেকে অনেক কমে যাবে।”

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, “কোনো সমস্যার সমাধান কর👍তে গেলে প্রথমেই সমস্যাটা আসলে কী, তা খুঁজে বের করত হবে। এখানে আমি যেটা দেখেছি, সেটা হচ্ছে সমস্যা একটাই, দেওয়ানি মামলা সময়মতো বিচার পায় না। দেওয়ানি মামলায় সময়মতো বিচার না পাওয়ার কারণে অনেক ফৌজদারি মামলা হয়। এটাকে দেখে যদি আমরা পদক্ষেপ নিই, তাহলে আমরা মামলা জট কমাতে পারব।”

মামলার জট কমাতে মামলা দ্রুত নিষ্পত্ত⛄ি করতে সহজিকরণ𒉰 করা, ই-জুডিশিয়ারি করা, সাক্ষ্য আইন সংশোধন করাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশ মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারক হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, আপিল বিভাগের বর্তমান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান🌠, এম ইনায়েতুর রহিম, আইন সচিব গোলাম সারোয়ার ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বজলুর রহমান।

এর আগে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দি🌃কীকে সংবর্ধনা♈ দেওয়া হয়।