খাল দখল করলে কারাদণ্ডের হুঁশিয়ারি মেয়র তাপসের

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ০৬:০৬ পিএম
ছবি: সংবাদ প্রকাশ

প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কারাদণ্ড দিতে বাধ্য হবেন বলে খা♏ল দখলদারদেরকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সি🎶টি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ☂শ্যামপুর খাল পরিষ্কার কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন শ♛েষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দখলদারদের বিরুদ্ধে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ডিএসসিসি মেয়র তাপস।   

মেয়র তাপস বলেন, "খাল দখল ঢাকাবাসীর জন্য একটি বড় সমস্যা। দখলদারদের বিরু✱দ্ধে আমরা ভবিষ্যৎতে আরো কঠোর হবো। প্রয়োজন হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের✅ মাধ্যমে আমরা তাদেরকে কারাদণ্ড দিতে বাধ্য হবো।"

এ সময় খাল সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, "আমাদের লক্ষ্য হলো খালগুলোকে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা, রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা। যাতে করে বছর বছর নতুন করে খনন বা এগুলো অপসারণ করতে না হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা একটি প্রকল্প জমা দিয়েছি। প্রকল্পটি প্ল্যান🐭িং কমিশন থেকে কিছু মতামত দিয়ে পাঠিয়েছে। আমরা সেগুলো আবার বিচার বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে জমা দেবো। আমরা আশাবাদী যে, এই প্রকল্পটা পাস হলে স্থায়ীভাবে সমাধানের দিকে আগাতে পারবো।"

মেয়র আরও বলেন, "আমাদের আসলে অনেক পুঞ্জিভূত সঙ্কট। আমরꦐা একটা একটা করে সেগুলো সমাধানের দিকে এগিয়ে চলেছে। জলাবদ্ধতা ঢাকাবাসীর জন্য একটি অত্যন্ত দূরুহ সমস্যা। আমরা গতবছর কিছুটা সূফল দিতে পেরেছি। এবার আমরা আশাবাদী, আরেকটু বেশি সুফল দিতে পারবো এবং দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের দিকে আগাতে পারবো।"

শ𒉰েখ তাপস বলেন, "গতবছর ওয়াসা থেকে খাল পাওয়ার পরই আমরা খালগুলো আবর্জনা পরিষ্কার, পলি অপসারণ, দখলমুক্ত করেছি। যে সকল জায়গায় অবকাঠামো উন্নয়ন, নর্দমা সংস্কার, নর্দমা নির্মাণ প্রয়োজন ছিল, নিজ অর্থায়নে আমরা সেগুলোর কাজ আরম্ভ ক🐈রেছি।”

এছাড়া খালের পর পর্যায়ক্রমে পরবর্তীতে আবার নর্দমাগুলো 𝓀পরিষ্কার করবো বলেও জানান ডিএসসিসির মেয়র।

এ সময় অন্য💯ান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপ𒆙োরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ।