‘সরকার মানুষের অধিকার পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ’

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২, ০৮:১৫ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “আওয়ামী♐ লীগ সরকার মানুষের এই অধিকার পূরণকল্পে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা গবেষণার ওপর এখন গুরুত্ব দিয়েছি। সেই সঙ্গে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনসাধারণের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। জনসাধারণের সচেতন উপলব্ধি ও সমন্বিত অংশ গ্রহণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য আইনের প্রয়োগ ও নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন বেগবান করা🌄 সম্ভব।”

আগামীকাল বুধবার ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২ღ০২২’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের জন্যᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤♕ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚ পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের প্রত্যয় নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।”

দ🍷িবসটি🧸র এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সুস্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি’ যথাযথ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

সরকার প্রধান বলেন, “সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পাশাপাশি জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। ভেজাল ও দূষণমুক্ত নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্তির জন্য আমরা ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কর্মসꦿূচি, ভেজাল ও দূষণ বিরোধী অভিযান পরিচালনা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা কার্যক্রম ও দেশি-বিদেশি সংস্থার সঙ্ꦬগে সমন্বয় করে সফলভাবে এগিয়ে চলছে।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “খাদ্যের উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান বজায় রাখা জরুরি। দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। যিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তার যেমন সচেতনতা প্রয়োজন; তেমনি যিনি ভোগ করবেন, তার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে একযোগে 𓄧কাজ করতে হবে।”

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আশা করে বলেন, “জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অংশীজনদের প্র𝔍ায়োগিক ভূমিকার মাধ্যমে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য𓄧 নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন।”

শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের পর মাত্র নয় মাসের মধ্যে আমাদের একটি সংবিধান উপহার দেন, যে সংবিধানে 💛তিনি মৌলিক বিষয়গুলি যেমন : অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সেখ🙈ানে খাদ্যটাকেই সবচেয়ে বেশি তিনি গুরুত্ব দেন।” 

সেই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদ🌠েশ গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে এ দেশের গণমানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিপপ্লবের মাধ্যমে সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এঁকেছিলেন। সেই স্বপ্নের আলোকে বাস্তবায়িত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘রুপকল্প-২০২১’। ‘রুপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়ন দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে।”

‘জাতীয় নিরাপদ খাদ꧙্য দিবস-২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি।

সূত্র : বাসস