জোড়া খুন : ফাঁসির ৮ আসামি হাইকোর্টে খালাস

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২২, ০৬:১০ পিএম

নোয়াখালীতে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীকে হত্যা মামলায় মত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসা🌺মির মধ্যে🌜 ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

একইসঙ্গে বাকি চারজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং একজনের মৃত্যুদণ্ꦍডাদেশ কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- মোফাজ্জেল হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, সা💛মছুদ্দিন, সাহাব উদ্দিন🍸, জাফর হোসেন, আলী আকবর, নাসির উদ্দিন ও আবু ইউছুফ।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স, জে🐈ল আপিল ও আপিল শুনানি শেষে এ রায় দেন।  

এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিল🌊েন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

এছাড়া আসামিদের প♌ক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা, আজাহার উল্লাহ ভুঁইয়া ও মোহাদ্দেসুল ইসলাম টুটুল। আর পলাতক আসা💜মিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী সাধন কুমার বণিক।

আইনজীবী আজাহার উল্লাহ ভুঁইয়া বলেন, “আদালত ১২ জনের মধ্যে ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন। অনতিবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে বলেছেন। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি বিবেচনায় নিয়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড🔴াদেশ বহাল রেখেছেন। আরেক আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে ১০ বছরের দণ্ড দিয়েছেনꦕ। তবে তিনজন পলাতক রয়েছেন। তাদের আত্মসমর্পণ অথবা গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে।

আজাহার উল্লাহ ভুঁইয়া আরও বলেন, “মহামান্য হাইকোর্ট রায় ঘোষণার সময় উষ্মা প্রকাশ করেছেন যে, আইন ও সাক্ষ্য-প্রমাণ যথাযথভাবে বিবেচনায় না নিয়ে খেয়ালিভাবে (বিচারিক আদালত) এ রায় দিয়েছেন, যেটা উচ🦩িত নয়। আরও সাবধানতার সঙ্গে সাক্ষ্য-প্রমাণ পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে এবং আইনকে যথাযথভাবে বিবেচনায় রেখে এ ধরনের মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ আদালত তাগ🍌িদ দিয়েছেন।”

যে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়েছে তারা হলেন-  কামরুল হাসান প🅰্রকাশ ওরফে সোহাগ, রাশেদ ড্রাইভার ও কামাল হোসেন প্রকাশ এলজি কামাল। এছাড়া আবদুস সবুরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

এ ব♐িষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান বলেন, “এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।”

২০১৬ সালের ২৩ মার🙈্চ নোয়াখালী শহরের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীকে হত্যা মামলায় ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন ♓জেলার দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে ১০ আসামিকে।  

নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো ෴হয়। পাশাপাশি আসামি হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে নোয়াখালী শহরের জামে মসজিদ মোড় এলাকার মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ করে দুই ভাই ফিরোজ কবির, সামছুল কবির এবং দোকান কর্মচারী সুমন পাল বাসায় ফিরছিলেন। পথে নাপিতের পোল এলাকায় তারা ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতেরা তিনজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সড়কের পাশে ফেলে দেন। স൩ঙ্গে থাকা মুঠোফোন, প্রি-পেইড কার্ডসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক সুমন পালকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত ফিরোজ কবির ও সামছুল কবিরকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফিরোজ কবির।

পরে ২০০৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ফিরোজ কবিরের বাবা আবু ব🌸কর ছিদ্দিক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের🌃 আসামি করে হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে সুধারাম থানায় মামলা করেন।