শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য মা–বাবাকে হতে হবে যত্নবান। তারা শিশুকে যেমন আদর যত্নে তাদের আবদার গুলো রাখবে তেমনি ভুলগুলোও ধরিয়ে দেবে꧅। তাদেরকে মানসম্মত সময় দিতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে, গুরুত্ব দিতে হবে। অবশ্যই শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য অꦛভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। এ ব্যাপারে রইলো কিছু টিপস-
আপনার শিশু আপনাকে দেখেই শিখবে। তাই আপনার ছোট্ট শিশু যখন কিছু বলবে তার প্রতি মনোযোগ দিন। তার কথা শুনুন। আপনার ছোট্ট শিশুর মনে নানা ধরণের প্রশ্ন আসতে পারে সেগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং সহজ ও বোধগম্যভাবে সেই প্রশ্নের উত্তর দিন। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, আপনার কথা বলা এবং উত্তর করায় আপনার শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করে।
আপনার ছোট্ট সোনামনির কাজের প্রশংসা করুন। ভুল করলে বা খারাপ করলে তার সমালোচনা না করে কীভাবে ভালো করা যায় সেটা তার সঙ্গে আলোচনা করুন। এতে তার শেখার আগ্রহ বাড়বে।
শিশুদের সাথে এমন আচরণ করুন যেন সে নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। তারা যখন রাগান্বিত হয় কিংবা দুঃখ পায় তখন তাদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, তাদের চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলি গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে শেখান।
আপনার শিশু গর্ভাবস্থা থেকেই নিয়ম শৃঙ্খলা শিখে আসবে সেটা ভুল। সে নানা রকম ভুল করতেই পারে। তাতে বিরক্ত হয়ে তাকে বকা ঝকা করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে না। তকে বকে না, ভালো করে বুঝিয়ে বলুন। ছোট থেকেই তাদের নিয়ম মেনে চলার জন্য উৎসাহ দিন। এটি শিশুর মধ্যে শৃঙ্খলা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অনুভূতি বিকাশ করে।
আপনার শিশু যে জিনিসগুলো ব্যবহার করে যেমন- বিছানার চাদর, পড়ার টেবিল তার জামা কাপড়, সেগুলো তার পছন্দ অনুযায়ীই দিতে পারেন। এতে তার আত্নবিশ্বাস বাড়বে। সিদ্ধান্ত নিতে পারদর্শী হবে এবং মতামত প্রদানের অভ্যাস গঠন হবে।
নিজের শত ব্যস্তার মধ্যেও আপনার শিশুকে সময় দিতে হবে। তার সঙ্গে গল্প করা, খেলাধুলা করা এবং সেই সঙ্গে মানসম্পন্ন সময় কাটানো প্রয়োজনীয়। এসব তাদের মানসিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
খেলাধুলার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলামে আগ্রহী করতে হবে। উৎসাহ দিতে হবে। এবং সে অন্য যে বিষয়ে আগ্রহী সেখানে উৎসাহিত করতে হবে। আপনি হয়ত চান আপনার সন্তান শুধুই পড়াশোনা করুক কিন্তু তার আগ্রহ নাচে তাহলে তাকে নাচ শেখাতেই আগ্রহী হোন।
শিশুরা তাদের মা-বাবাকে দেখে অনেক কিছু শেখে। তাই আপনার আচরণ ও অভ্যাস সম্পর্কে প্রথম থেকেই সচেতন হওয়া উচিত। আপনি কার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছেন কীভাবে কথা বলছেন সবই সে খেয়াল করবে এবং সেভাবেই সেও রপ্ত করবে। তাই ছোট ভেবে তার সামনে আরেকজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন তা ঠিক না।
শিশুর শারিরীক ও মানসিক বিকাশে খাবারের কোন বিকল্প নেই। তাই শিশুকে সবসময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।