সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড সঙ্গীকে কেন জানাবেন না

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
সূত্র: সংগৃহীত

ভালোবাসার সম্পর্কে গভীরতা থাকলে🐻 তাতে স্থায়ীত্ব বাড়ে। ভালোবাসা, সম্মান, আদর, আবদার নিয়েই গড়ে উঠে সম্পর্ক। যেখানে কোনো গোপনীয়তা থাকে না। থাকে না কোনো ব্যক্তিগত বিষয়। সঙ্গী তখন বন্ধু হয়। তার সঙ্গে প্রায় সবকিছুই শেয়ার করা যায়। তবে যা শেয়ার করা নিয়ে দ্বিধা কাজ করে, তা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড। সঙ্গী যদি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড জানতে চান, তবে ক্ষনিকের জন্য হলেও হিচকিচিয়ে উঠেন। পাসওয়ার্ড দেওয়া কী ঠিক হবে, নাকি ঠিক হবে না-তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। পাসওয়ার্ড হয়তো দিয়েও দিচ্ছেন.. কিন্তু মনের মধ্যে অস্বস্তিবোধ থেকেই যায়। নিজের মনে প্রশ্ন ঘুরতে থাকে- সঙ্গী কি সন্দেহ করছে আপনাকে?

ডিজিটাল যুগে সবাই কমবেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে নিত্য নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়। আলাপ হয়। বন্ধুত্ব হয়। আলাপে এক পর্যায়ে হয়তো সেই বন্ধুর কাছে  ব্যক্তিগত কোনো কথাও শেয়ার করছেন। কিন্তু এই বিষয়ে আপনার সঙ্গীও কিছু জানেন না। এমন পর্যায়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড সঙ্গীর সঙ্গে শ💮েয়ার করা হিতে বিপরীত হতে পারে।

কিন্তু সঙ্গীকে আপনি ভালোবাসেন। তার সঙ্গে সবকিছুই শেয়ার করেন। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড ꦯশেয়ার করা কোনো বড় বিষয় হতে পারে না। এক্ষেতও্রে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধু নির্বাচন ও কথোপকথনে সতর্ক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।

ওয়াইফাই বা নেটফ্লিক্সের পাসওয়ার্ড সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। এতে ক্ষতি হবে না। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড দেওয়ার আগে একটু ভেবে দেখবেন। কারণ সঙ্গী সঙ্গে যতই ঘনিষ্ঠতা থাকুক, বিশ্বাস থাকুক না কেন কিছু বিষয়ের গোপনীয়তা রক্ষা করা জরুরি। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া ও ব্যাংকের পাসওয়ার্ড শেয়ার না করাই ভ🦩ালো।

সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড একান্তই ব্যক্তিগত হওয়া উচিত। এটি সঙ্গী কেন, কারো সঙ্গেই শেয়ার করা ঠিক নয়। তবে আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় ততটা সচল না হোন🌺 তবে পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে পারেন। এক্ষেত্রে দুই জন মিলে একটি আইডিও ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি আপনার নিয়মিত বি♎চরণ থাকে, তবে এটি সঙ্গী থেকে দূরে রাখাই ভালো।

অনেক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গীর প্রতি সন্দেহের🐭 কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড চাইতে পারে। এক্ষেত্রে বিষয়টি সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করুন। পাসওয়ার্ডও শেয়ার করা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা বাড়তে দিবেন না। এতে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে যেতে পারে।