♐২২ অক্টোবর, শুক্রবার জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা দিবস। অপ্রত্যাশিত সড়ক দুর্ঘটনা ঠেকাতে জনসচেতনতা তৈরি করা এই দিবসের মূল উদ্দেশ্যে। এ বছর প্রতিপাদ্য বিষয় রাখা হয়েছে- ‘গতিসীমা মেনে চলি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করি’।
সঠিক গতিসীমা মেনে চলা সড়ক দুর্ঘটনা রোধের অন্যতম উপায়। সড়কে চলাচল ক▨রতে গিয়ে আমরা অনেকেই উদাসীন থাকি। চালকদের বেপরোয়া গাড়ি🍸 চালানো, পথচারীদের খামখেয়ালীপনা সবই সড়ক দুর্ঘটনর অন্যতম কারণ। এর জন্যই সড়কে সঠিকভাবে চলাচলে চাই সচেতনতা। নিয়ম মেনে, চারপাশ খেয়াল রেখেই চলতে হবে সড়কে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার কর্তৃক নতুন কিছু আইন করা হয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশ♔ি আমাদেরও কিছু সতর্কতা মানতে হবে। সড়কে চলাচলে যে সচেতনতা মেনে চলতে হবে তা জানাব এই আয়োজনে_
সড়কে গাড়ির চালানোর আগে সর্বপ্রথমে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। হাইওয়েতে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
গাড়ি চালানোর সময় লুকিং গ্লাসে খেয়াল রাখুন। দুই পাশের গাড়ির অবস্থান দেখেই গাড়ি চালাবেন। গাড়ি চালানোর আগেই লুকিং গ্লাসটি পরিস্কার করে নিন।
সড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো বা প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার সঙ্গে অন্যরাও ঝুঁকিতে পরবেন।
সড়কে গাড়ি ডান বা বাম পাশে যাওয়ার আগে অবশ্যই সিগন্যাল দিন। এতে পেছনের গাড়ি আপনার বার্তা পাবে। তাদেরও গাড়ি চালাতে সুবিধে হবে।
মোটরসাইকেল চালানো ক্ষেত্রে অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করুন। দুইজনের বেশি মোটরসাইকেলে উঠবেন না। মোটরসাইকেল নিয়ে দূরের পথে যাওয়ার আগে তা ভালো করে সার্ভিসিং করে নিন।
গাড়ি বা মোটরসাইকেল নিয়ে সড়কে বের হওয়ার আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজ সঙ্গে রাখবেন।
ফিটনেসবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ গাড়ি বা মোটরসাইকেল নিয়ে সড়কে বের হবেন না।
ট্রাফিক সংকেত মেনে অবশ্যই মেনে চলুন। সড়কে লাল, সবুজ, হলুন বাতি থাকে কিংবা ট্রাফিক পুলিশ সংকেত দিয়ে আপনার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করবেন। সেই নিয়ম ভঙ্গ করবেন না।
হাইওয়ে বা শহরের ভেতরে গাড়ি চালানোর সময় অন্য গাড়িকে ওভারটেক করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এতে বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে প্রাণহানিও হতে পারে।
সড়কে পার হওয়ার সময় ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন। রাস্তার মাঝে হাত দেখিয়ে সড়কে পার হবেন না। এতে গাড়ির চালক বিভ্রান্ত হয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও সিগন্যালে গাড়ি থামলেই জেব্রা কসিং দিয়ে রাস্তা পার হবেন।
সড়কের মাঝে গাড়ি পার্কিং করবেন না। নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্ক করুন। কিংবা নির্ধারিত স্থান ছাড়া যাত্রী বা পণ্য ওঠানামাও করবেন না।
গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা বিপদজ্জনক। এতে অন্য গাড়ির দিকে নজর রাখা যায় না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই অবশ্যই গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন কানে নিয়ে কথা বলবেন না। ইমার্জেন্সি হলে লাউডস্পিকার বা ব্লুটুড ইয়ারফোন ব্যবহার করুন।
পথে হাটার সময়ও মোবাইল ফোনে কথা বলবেন না। পথের পাশে কোথাও দাড়িয়ে প্রয়োজনীয় কথা সেরে নিন।
কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে গান শোনার অভ্যাস থাকে অনেকে। সড়কে হাঁটতে বের হলে অনেককেই এমনটি করতে দেখা যায়। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা এটি বেশি কর। এই অভ্যাস পরিহার করুন। পথে হাটার সময় চারপাশ সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। ইয়ারফোনে গান শুনতে থাকলে গাড়ির হর্ন শুনতে সমস্যা হবে। যাতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও থাকে।