যে বয়সে বিয়ে করলে পুরুষের আয়ু বাড়ে

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২২, ১১:৪৬ এএম

বিয়ের নির্দিষ্ট কোনো বয়স আছে কি? সাধারণত মেয়েরা ১৮ আর ছেলেরা ২২ বছরে বিয়ের জন্য়  উপযুক্ত বয়স নির্ধারিত থাকে। এর আগে বিয়ের বিষয়ে সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। তবে সামাজিক প্রেক্ষাপটে মেয়েদের কম বয়সে এবং ছেলেদের বেশি বয়সে বিয়ে করাই নিয়মে দাঁড়িয়েছে। কলেজ পার করে মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ের দেওয়ার ধুম পড়ে। কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র! ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে ভালো চাকরি পেয়ে সাবলম্বী হ𝄹বে তবেই তো বিয়ের উপযুক্ত হবে।

এ ধারণা কতটা সঠিক? সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, মেয়েদের মতো ছেলেদেরও কম বয়সে বিয়ে করলেই সুখে থাকার আশা ♐বেশি।

বিয়ে নিয়ে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক সমীক্ষার এই তথ্য উঠে এসেছে। বিয়ের সঠিক বয়স কী হওয়া উচিত? সঠিক বয়সে বিয়ে নিয়ে কী কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় এবং বিয়ের পর সম্পর্কের ধরন দিয়ে❀ বিস্তারিত গবেষণা হয় এই সমীক্ষায়।

যেখানে গবেষকরা জানান, বয়স যত কম হবে মনের মতো ꧒সঙ্গী পাওয়ার সম্ভাবনা ততই বাড়বে। এর জন্য পুরুষদের ২৫-এর মধ্যে বিয়ে হওয়া সবচেয়ে জরুরি। এই সময় তারা মানানসই সঙ্গী পেতে পারে এবং দাম্পত্য সুখের হয়।

গবেষকরা জানান, সুখী ཧদাম্পত্য জীবন আয়ু বাড়াতে সক্ষম। দাম্পত্যসুখের হলে জীবনধারায় সুখ মেলে। মানসিক-শারীরিক রো🦋গ থেকে তারা মুক্তি পায়। নিজের জীবন নিয়ে যতটা সন্তুষ্ট তার আয়ু ততটাই বাড়বে।

সমীক্ষায় উঠে আসা নতুন এই বিষয়টি বেশ সাড়া জাগিয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ 🐼এর সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন।

সামাজিকভাবে অনেকের ধারণা, ছেলেরা একটু দেরি করে বিয়ে করলে ভা𓆉লো। তা হলে চাকরি পেয়ে খানিকটা গুছিয়ে নিতে পারবে। তাছাড়া পুরুষের বয়স বেশি হলেও সমস্যা নেই। কম বয়সী মেয়ে তো পাবেই। কম বয়সের মেয়েকে বিয়ে করলে দাম্পত্য সুখের হবে।&nbs🎐p;

বিশেষজ্ঞরা জানান, এসব ধারণার বিজ্ঞানসম্মত দিক নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। বরং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান কম হলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয়। তাদের বোঝাপড়াটা ভালো হয়। ছেলেরা ৩০ পার হলে বিয়ের বিষয়ে ভাবেন। এক্ষেত্রে সঙ্গী পেতে আরও কয়েক বছর কেটে যায়। বয়সের ব্যবধান বেড়ে যায়। যা থেকে বোঝাপড়ার স🧜মস্যা হতে পারে। তাছাড়া বয়⭕স বেশি হলে জেনারেশনের পার্থক্যও থাকে। তাই পছন্দ-অপছন্দ এক নাও হতে পারে। দাম্পত্য জীবন সুখের হতে এসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।

সমীক্ষায় গবেষকরা আরও জানান, বিবাহের মাধ্যমে 𝓰একজন মানুষের সঙ্গে সারা😼 জীবন থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মানুষটি সঠিক কিনা, তা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতেও সময় লাগে। মনের মতো সঙ্গী পেলে মানসিক চাপ কম হবে। জীবন সুখময় হবে। বিয়েও বেশি দিন টিকবে। আর দাম্পত্য  সুখের হলে আয়ু বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।