উৎসব মানেই নতুন পোশাক। ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান আকর্ষণই থাকে নতুন পোশাক পরে নামাজে যাওয়া, কোলাকুলি করা এরপর মিষ্টি মুখ। সারাদিন ঘুরে বেড়ানো, আত্মীয়দের আপ্যায়ন এভাবেই কে🐻টে যায় ঈ꧅দের সারাবেলা। ঈদের প্রস্তুতির সবার প্রথমে নতুন পোশাক কেনার ধুম থাকে। নতুন পোশাকে ভ্যারিয়েশন থাকে। ফ্যাশনেবল ড্রেস কেনাই থাকে মূল ট্রেন্ড। ট্রেন্ডে নতুন মাত্রা যোগ করেছে কাপল ড্রেস। উৎসবে এখন সঙ্গী আর বাচ্চাদের সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরার ধুম চলছে। একই রঙের কিংবা একই ধাঁচ বা প্রিন্টের পোশাক বেছে নিচ্ছেন কাপলরা।
ঈদ আনন্দের কেন💧াকাটায়ও দেখা যাচ্ছে একই রূপ। ফ্যাশন হাউজগুলোরও ক্রেতাদের পছন্দ আর চাহিদার কথা মাথায় রেখে কাপল ড্রেস নিয়ে এসেছে। যেখানে থাকছে বিভিন্ন ডিজাইন। ‘ফ্যামিলি ড্রেস’ নামে ট্যাগও দেওয়া হচ্ছে এসব পোশাকে। বাবা-মায়ের সঙ্গে মিল রেখে থাকছে বাচ্চাদের পোশাক। আবার শুধু বাবা-ছেলের পাঞ্জাবি করা হচ্ছে একই মোটিফে। শাড়ির সঙ্গে পাঞ্জাবি, ছেলে ও মেয়েদের জন্য একই মোটিফের টি-শার্ট, মেয়েদের সালোয়ার আর ওয়ান পিসের সঙ্গে 🦹মিলিয়ে ছেলেদের পাঞ্জাবির ডিজাইন করা হয়েছে ঈদের ফ্যাশন হাউজগুলোতে।
কাপল এসব ড্রেসে ডিজাইনেও রাখা হচ্ছে নতুনত্ব। উত্সবের কথা মাথায় রেখেই সেখানে প্রি𝔍ন্ট বা কারুকাজ করা হচ্ছে। ফুল, পাখি, প্রকৃতিও জায়গা পায় পোশাকের নকশায়। অনুষ্ঠান ও ঘরোয়া দুই পরিসরেই হালকা নকশার পাশাপাশি ভারি কারুকাজের নকশাও থাকছে কাপল ড্রেসে।
ঈদ উৎসবে কোথাও ঘুরতে গেলে বা দাওয়াতে যেতে একই নকশার পোশ♔াক পরতেই আগ্রহী সবাই।
যাওয়ার সময়ও অনেকেই এক নকশা কিংবা থিমের পোশাক বেছে নিচ্ছেন। সব সময় যে তাঁরা পোশাকের রং আর নকশায় মিল খুঁজছেন বিষয়টা তা-ও নয়। অনেক সময় একই টাইপোগ্রাফি বা ছবি আঁকা পোশাকে🌳 সাজছেন কেউ কেউ। অনুষ্ঠান ও ঘরোয়া দুই পরিসরেই পরার জন্য হালকা নকশার পাশাপাশি কিছুটা কারুকাজ করা নকশাও এনেছি। এখন তো বিয়ের নানা আয়োজনেও অনেকে যুগল পোশাক খোঁজেন।
যুগলবন্দি এসব পোশাকের বেশিরভাগই থাকে বুটিকস কালেকশনে। টাই-ডাই, ব্লক প🐲্রিন্ট, 💧অ্যাপ্লিক, ক্যাটওয়ার্ক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, বাটিক, কারচুপি, হ্যান্ড ও মেশিন এমব্রয়ডারি করা ডিজাইনের কাপল ড্রেস পাওয়া যায়।
রঙের মিলও রাখা হয় কাপল ড্রেসে। গাঢ় রঙটাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় এক্ষেꦦত্রে। তবে হলুদ, কমলা, খয়েরি, নীল, সবুজ, মেরুন, কলাপাতা, বাসন্তী ও বেগুনি রঙকেও বাদ দেওয়া হয় না। অনেকে অফহোয়াইট, সাদা রঙের পোশাকও মিলিয়ে নেন🧔 প্রিয়জনের সঙ্গে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তোফায়েল ইসলাম নিজের স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানী যমুনা ফিউচার পার্ক মার্কেট ঘুরছেন ঈদ কেনাকাটার জন্যে। তার পছন্দের কথা জানতে 🍸চাইলে কাপল ড্রেস কেনার কথা জানান। তোফায়েল ইসলাম বলেন, “ছোট্ট মেয়ে আছে আমাদের। আমরা প্রতিবারই একই রঙের পোশাক কিনি। এবারও তাই খুজছি। এতে ঝামেলাও কম। একটি ডিজাইন পছন্দ হলেই তিনজনের কেনাকাটা একসঙ্গে হয়ে যায়।"
নকশার বৈচিত্র্যে কাপল ড্রেসগুলো আগের চেয়ে আরꦍও আকর্ষণীয় হয়ে♕ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন তো কম-বেশি সব ফ্যাশনহাউজেই ফ্যামিলি পোশাক পাওয়া যায়। প্রতিযোগিতা বেড়েছে। তাই সব হাউজই নতুনত্ব রাখার চেষ্টা করছে। আমরাও ভ্যারিয়েশন পাচ্ছি।"
ফ্যামিলি ড্রেস নিয়ে ক্রেতাদের আগ্রহের কথা জানিয়ে রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার সৌমিক দাস বলেন, “প্রিয়জনরা একই সঙ্গে একই পোশাক পরতে ভালোবাসে। তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ঈদ কালেকশনেও ফ্যামিলি ড্রেসে কয়েকটি ডিজাইন রাখা হয়েছে। একই মোটিফের প🔯োশাক রয়েছে পরিবারের সদস্যদের জন্য। এসব পোশাকের বিক্রিও বেশ ভালো।"
অঞ্জন’সে স্বত্বাধিকারী শাহিন আহমেদ বলেন, ‘ঈদ 🌌পোশাকে সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। ফ্যামিলি ড্রেসও একই ফেব্রিকে বানানো হয়ে💛ছে। যুগলবন্দি পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। তাই যতটা ফ্যাশনেবল করে উপস্থাপন করা যায় তা চেষ্টা করেছি।’
সদ্য বিয়ে করা এক কাপল এসেছেন ঈদ শপিংয়ে। জানালেন ঈদের সকালের শুরুতেই একই পোশাক পরবেন। ইতোমধ্যে কিনেও নিয়েছেন। মার্কেটে কেনাকাটার এক মুহূর্তে তারা বলেন, “কয়েকটি পোশাক কিনেছি। কা🙈পল ড্রেসও কিনেছি। রং, ডিজাইন সব একই। ঈদের সকালে একসঙ্গে পরবো এই ড্রেস। অন্য অনুষ্ঠানেও একইরকম পরি আমরা। সবাই প্রশংসা করে। ভালোই লাগে।"
নতুন প্রজন্মের ফ্যাশনপ্রেমিদের কাছে এভাবেই ছড়িয়ে যাচ্ছে কাপল ড্রেস। যা ফ্যাশন ট্রেন্ডের নতুন মাত্রা যোগ কর🍸েছে। ক্রেতাদের ভা🅺বনা ও চাহিদার নিত্য নতুন প্রকাশ ঘটে এমন ট্রেন্ডে। তরুণদের ছাড়িয়ে এই ট্রেন্ড এখন ভাসিয়ে নিচ্ছে বড়দেরও। বাবা-মা, দাদা-দাদি কিংবা নানা-নানিরাও এখন একই মোটিফের ম্যাচিং পোশাক উপহার পাচ্ছেন।