২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশ স্বাধীন করার আন্দোলনের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে লাখো বাঙালি। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলে দীর্ไঘ ৯ মাস। বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করে ছিনিয়ে আনে স্বাধীন বাংলাদেশ। বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয় লাল-সবু𝓰জের এই দেশটি।
‘স্বাধীনতা’ হচ্ছে পরাধীনতার ঠিক উল্টো। অন্যের অধীনস্থ থেকে মুক্তি পাওয়া। অন্যের প্রভাবে বা চাপে না থেকে মুক্তভাবে বেঁচে থাকাই হচ্ছে স্বাধীনতা। আর স্বাধীন রাষ্ট্রের জনগণের থাকবে নিজস্ব শাসনব্যবস্থা ও সার্ꦫবভৌমত্ব। বাংলাদেশ তেমনই স্বাধীন দেশের রূপ পায় ১৯৭১ সালে।
স্বাধীন দেশের স্বাধীনতার স্বাদ এখন সর্বক্ষেত্রে। বাংলায় কথা বলার স্বাধীনতা, মুক্ত চিন্তার স্বাধীনতা, ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতা, মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নেওয়ার স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে বাঙালিরা। এসবই সম্ভব হয়েছে স্বাধীনতার সেই যুদ্ধের পর। পাকিস্তানি দোসরদের শাসন💯কে উপেক্ষা করে ঘুরে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ। নারী-পুরুষেরা এখন সমানতালে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে। উন্নতি সাধনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত সবাই। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নামকে এখন গর্বের সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়।
মাতৃভাষা বাংলার জন্য় ভাষা আন্দোলনের সেই যুদ্ধও এখন সার্থক। বাঙালিরা এখন বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশি ভাষারও চর্চা করছে নতুন প্রজন্ম। কিন্তু🌸 সমানতালে বাংলাকেও ভুলে যাচ্ছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সংস্কৃতি অঙ্গনে চলছে বাংলার চর্চা।
স্বাধীনতার স্বাদ মেলে ধর্মনিরপেক্ষতায়ও। স্বাধীনভাবে 🅰ধর্ম পালিত হয় এই দেশে। হিন্দু-খ্রিস🧸্টান-মুসলিম-বৌদ্ধ একসঙ্গেই উৎসবে মেতে ওঠে।
দেশের মাটি পে🗹রিয়েও এখন স্বাধীনতার স্বাদ নিচ্ছে বাঙালিরা। বিদেশে নিজেদের পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে দেশকেও উন্নত করছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে নতুন প্রজন্ম।