২৬শে মার্চ, স্বাধীনতা দিবস। দেশজুড়েই নানা আ𓂃য়োজনে দিবসটি পালিত হয়। ঘরে-বাইরে থাকে উৎসবের আমেজ। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানা🔯নো হয়। আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয় রাজধানীর ভবনগুলো। নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে দিবসটি সসম্মানে, সগৌরবে উদযাপন হয়।
আগামী প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়াꦉ হয় এই দিনে। ছোট শিশু থেকে কিশোররা এই দিনটির ইতিহাস জানতে পারে। পরিবার থেকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হয় সেই ব্যবস্থা। আগামী প্রজন্মের কাছে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরার দায়িত্ব আপনিও নিতে পারেন। অভিভাবক হলে সন্তানের কাছে, শিক্ষক হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাধীনতা গৌরবময় অধ্যায় তুলে ধরতে পারেন। আবার যদি স্বেচ্ছাসেবক হয়েও আগামীর প্রজন♏্মের কাছে নিয়ে যেতে পারেন স্বাধীন বাংলাদেশের জয়ের ইতিহাসের সেই গল্প। কিন্তু কীভাবে? চলুন কিছু ধারণা নিই, কীভাবে আগামী প্রজন্ম, যারা দেশের ভবিষ্যৎ তাদের কাছে স্বাধীনতা ইতিহাস তুলে ধরা যাবে।
ছোটদের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠেছেন? রূপকথার গল্প না শুনিয়ে, সত্যিকারের গল্প তুলে ধরুন। গল্পে গল্পে জানিয়ে দিন মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথা। ভয়ানক কালরাত্রির গল্পও জানাবেন। সেই কালরাত্রিকে কীভাবে জয় করে স্বাধীন বাংলাদেশ হয়েছে তা তুলে ধরুন সন্তানের কাছে।
স্বাধীনতার ইতিহাস ফুটিয়ে তুলুন চিত্রাঙ্গনেও। আগামীর প্রজন্মদের নিয়ে আয়োজন করুন চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা। স্বাধীন বাংলাদেশকে কে, কীভাবে দেখছে, কতটুকু জানতে পারছে তা তুলির রঙে ফুটে উঠবে।
সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরুন স্বাধীনতার ইতিহাসকে। শিশু, কিশোরদের অংশগ্রহণের মুক্তিযুদ্ধের কবিতা, আবৃত্তি, গান, নাচ, অভিনয়ের আয়োজন করুন। যেখানে উঠে আসবে নতুন প্রজন্মের প্রতিভা। তারাও একসময় দেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে। তাদের মাধ্যমেই স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস জানবে পুরো বিশ্ব।
ছোট বয়সে যা করা হয়, যেখানে যাওয়া হয় তা সারা জীবন স্মরণে থাকে। শিশুরা ছোট থাকতে, এমনকি কিশোর বয়সেও তাদের নিয়ে স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভে ঘুরে বেড়ান। জানিয়ে দিন প্রতিটি স্তম্ভের ইতিহাস। আগামী প্রজন্মের জন্যই এসব স্তম্ভ ধারণ করে রাখা হয়েছে। এর উপযুক্ত ব্যবহার করুন।
বই পড়ায় জ্ঞান বাড়ে। আগামীর প্রজন্মের কাছে সেই জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধের বইগুলো তাদের হাতে তুলে দিন। স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসকে জানান। বই উপহার দিয়ে কিংবা তাদের সঙ্গে নিয়ে বই পড়ে স্বাধীনতার ইতিহাসকে জানাতে পারেন।