বই জ্ঞানের পরিধি বাড়ায়। যুগ যুগ ♛ধরে মানুষ বই থেকে নিজেদের জ্ঞান অর্জন করেছেন। গবেষণা করে নিজেদের অভিজ্ঞতা নিয়ে বইও লিღখেছেন। সেই বই পড়ে আবার অন্যরা নিজেদের জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়েছেন। এভাবেই বইয়ের মাধ্যমে চলছে জ্ঞান আদান প্রদানের প্রক্রিয়া। সেই বইকেই এখন সময়ের অপচয় হিসেবে দেখছে বর্তমান প্রজন্ম, অর্থাৎ জেন জি’রা।
সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। যা উদ্বেগজনক বিষয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় দেখা যায়, বর্তমান প্রজন্মের অনেক শিক্ষার🏅্থী কলেজে উঠে বই পড়া নিয়ে অনিহা প্রকাশ করেন। তাছাড়া পুরো পাঠ্য বইও🍬 তারা শেষ করতে আগ্রহী নয়।
জেন জি’দের এই ধারণা নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন রোজ হরোভিচ। সম্প্রতি তিনি এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ 🌊জন অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলেন। প্রবন্ধটির লেখক রোজ হরোভিচ জানান, অধ্যাপকরা বর্তমান প্রজন্মকে নিয়ে এই ধারণাই দিয়েছেন।
তরুণ সমাজ বই পড়ার প্রতি আগ্রহ নিয়ে বরাবরই সমালোচনা রয়েছে। অধ্যাপকরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাহিত্যের প্রতি মনোযোগী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রজন্মগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এর পেছনে অন্যতম কারণ হতে পারেন 🐭ইন্টারনেটের আধুনিকায়ন। স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবের কারণে সেকেন্ডারি ও হাই স্কুলগুলোতে পুরো বই পড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে।
লেখক প্রতিবেদনে জানান, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা এর জন্য মোটেও দায়ী নয়। বরং মানসিকতার পরিবর্তনই ব🥀ই পড়ার প্রত𝐆ি আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে। বর্তমান প্রজন্মের ধারণা, বই পড়া গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি সময়ের অপচয় মাত্র।
অধ্যাপকদের মন্তব্য তুলে ধরে প্রবন্ধে লেখকꦗ রোজ ভিচ আরও জানান, বইౠ পড়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়ার আরও একটি কারণ হতে পারে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অতিরিক্ত চাপ। তারা সবসময় উদ্বিগ্ন থাকেন। তারা ব্যক্তিগত উন্নয়নের চেয়ে ভবিষ্যৎ গড়ার কাজকে প্রাসঙ্গিক মনে করেন।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অধ্যাপক জেমস শ্যাপিরো জানান, বর্তমান প্রজন্মের কাছে সাহিত্য𒊎কর্ম তুলে ধরা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে স্নাতকের ছাত্র-ছাত্রীরা সাহিত্য বুঝতে সংগ্রাম করছে। তবে তাদের মধ্যে পাঠের দক্ষতা অনেক বেশি এবং তাদের জ্ঞানও কম নয়। মূল সমস্যা হলো, শিক্ষার্থীদের সময় এবং মনো🤪যোগের ওপর অনেক চাপ থাকায় সাহিত্যকর্মে পুরোপুরি নিমজ্জিত হতে পারে না।
গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৭১ সালে আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার লক্ষ্য দেখা যায় ৩৭ শতাংশ ছাত্র-ছাಌত্রীদের মধ্যে। বাকি ৭৩ শত🥃াংশ শিক্ষার্থীরা জীবনের অর্থপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশের জন্যই কলেজে পড়াশোনা করতে চান। ২০১৫ সালে এসে এই পরিসংখ্যান প্রায় উল্টেই যায়। ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী বলছেন, আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আর ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর লক্ষ্য জীবনের অর্থপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ।
জেন জি’দের কাছে বই পড়া সময়ে অপচয়-বিষয়টি নিয়ে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসিক্সের অধ্যাপক জোসেফ হাউলিও মন্তব্য করেন। তিনি ব💦লেন, “সম্প্রতি সময়ে মানবিক পাঠ্যক্রমের ওপর গুরুত্ব কমছে। কারণ শিক্ষক ও অভিভাবকরা মূলত প্রি-প্রফেশনাল কোর্সগুলোর ওপর জোর দিচ্ছন। তাই উপন্যাস পড়ে ঘণ্টা পার করে দেওয়াকে তারা অযৌক্তিক মনে করেন।”
প্রবন্ধের উপসংহারে লেখ💞ক রোজ ভিচ জানান, কোনো কিছুর মূল্যায়ন🦂 থেকেই পরিবর্তনের শুরু হয়। বই পড়া জেন জি’দের জন্য যুক্তিসংগত হলে, আগ্রহ ফিরিয়ে আনতে ইতিবাচক পরিবর্তন প্রয়োজন। তবে শুধুমাত্র জেন জি প্রজন্মকে এই দায়িত্ব নিলে চলবে না। উদ্বিগ্ন সবাইকে এই পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে হবে। তবেই জেন জি’দের এই ধারণার পরিবর্তন হবে।