দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লিবিয়ার সংসদে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২২, ১১:৫৩ এএম

দ্র🏅ব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার প্রতিবাদে লিবিয়ায় বিক্ষোভে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষꦜ। বিক্ষোভকারীরা দেশের সংসদ ভবনে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছেন। তারা খাদ্যপণ্যের দাম কমানো ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে,♏ শুক্রবার দেশর সংসদীয় এলাকা তোবরুক, বেনগাজি ও কয়েকটি ছোট শহরে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় তোবরুকে অবস্থিত দেশের সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা। যুদ্ধরত দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে ভবনের সামনে আ♚গুন ধরিয়ে দেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, বিক্ষোভকারীদের চাপে সংসদ ভবন রক্ষা🌳কারꦯী নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। এতে তারা ভিতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়।

কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ছবিতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা টায়ারে আগুন ধরিয়ে দিলে সংসদ ভবনের সীমানা ঘেঁষে ধো▨ঁয়া উড়ছে। তবে কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সংসদ ভবনের কিছু অংশ পুড়ে গেছে🌳। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সংসদ ভবন খালি ছিল।

তোবরুক বিক্ষোভের একাধিক ছবিতে দেখা যায়, বুলডোজার দিয়ে পার্লামেন্ট ভবনের ফটকের কিছু অংশ ভেঙে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর সহজেই পার൲্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভরত লোকজন। কিছু বিক্ষোভকারীকে দাপ্তরিক নথিপত্র ছুড়ে ফেলতে দেখা যায়। তাদের কারও কারও হাতে ছিল গাদ্দাফি আমলের সবুজ পতাকা।

আইনপ্রণেতা বালখেইর আলশাব দেশটির আল-আহরার টেলিভিশন চ্যানেলক🌠ে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই ব্যর্থতা স্বীকার করে নিতে হবে। অবিলম্বে রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে সরে যেত হবে।’

২০১১ সালে গণ-অভ্যুত্থানের একপর্যায়ে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে মুয়াম্মার গাদ্দাফির সরকারের পতন ঘটে। দেশটির দীর্ঘ সময়ের শাসক মু🍬য়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাতের তিন বছর পর ২০১৪ সালে রাজনৈতিকভাবে পূর্ব ও পশ্চিম দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় দেশটি। লিবিয়াকে আবার রাজনৈতিকভাবে এক করার প্রচেষ্টায় ২০২০ সালে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়নি।

ডিসেম্বরে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পরে পূর্বাঞ্চলীয় স൩ংসদ জানায়, অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ আল-দ্বিবাহার সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তার জায়গায় ফাতহি বাশাগাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানায় সং🍌সদ।

দুটি সরকার বর্তমানে লিবিয়ায় ক্ষমতার জন্য লড়াই করছে। রাজধানী ত্রিপোলিতে সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দিবাহ। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফা𒆙তহি বাশাগা নিজেই ক্ষমতায় থাকার দাবি করেছেন। ফাতহি তোবরুকে অবস্থিত পার্লামেন্টের সঙ্গে জোটবদ্ধ।