বেছে বেছে ধনী পুরুষদের বিয়ে করতেন তিনি🍌। বিয়ের কিছু দিন পরেই ডিভোর্স, এরপর মোটা অঙ্কের খোরপোশ। তারপর আবার বিয়ে! এভাবে ধনী পুরুষদের বিয়ে ও ডিভোর্সে ফাঁদে ফেলে ১০ বছরেই কোটিপতি বনে যান তরুণী। অবশ্য শেষ রক্ষায় হꦍয়নি তার, ধরা পড়তে হলো পুলিশের জালে।
ওই তরুণীর নাম সীমা ওরফে নিক্কি। সম্প্রতি ভারতের জয়পুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়🙈।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘বিয়ে করা’ই ছিল স☂ীমার একমাত্র পেশা। বেছে বেছে ধনী ব্যবসায়ী কিংবা চাকরিজীবীদের বিয়ে করতেন তিনি। বেশিরভাগ সময়েই তারা হতেন বিপত্নীক। ২০১৩ সালে প্রথম শিকারকে জালে ফাঁসান ওই তরুণী। আগরার এক ধনী ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের বছর ঘুরতে না-ঘুরতেই স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা ঠুকে দেন সীমা।ꦬ মামলার নিষ্পত্তির জন্য স্বামীর থেকে আদায় করেন ৭৫ লাখ টাকা।
২০১৭ সালে দ্বিতীয় বিয়ে। এবার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত গুরুগ্রামের এক যুবককে বিয়ে করেন সীমা। আবারও বছরখানেকের মধ্যেই বিচ্ছেদ। বিচ্ছেদের সময় মেলে ১০ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে ফের একই ধাঁচে জয়পুরের এক ব্যবসায়ীকে বি🐲য়ে করেন সীমা। এবার আর বিচ্ছেদ নয়, বিয়ের দিন কয়েক পরেই শ্বশুরবাড়ি থেকে সোনার গয়না এবং নগদ প্রায় ৩৬ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যꦑান তিনি। শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে নেমে সীমা ওরফে নিক্কির খোঁজ পায় পুলিশ।
তদন্তে জানা গেছে, বিয়ের ওয়েবসাইট থেকে পুরুষদের বাছতেন সীমা। তারপর বেছে বেছে বিপত্নীক ব্যবসায়ী বা চাকরিজীবীদের বিয়ে করতেন। এভাবেই ১০ বছরে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা আয় করেন সী𝕴মা!