হিন্দু ধর্মাম্বলীদের সেরা দুর্গোৎসব। আড্ডা, ঘোরাফেরা, খাওয়া-দাওয়া কেটে যায় উৎসবের আনন্দ। পূজা মণ্ডপে, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি ঘুরে বলে কত খাবারই🎃 না খাওয়া হয়। প্রসাদ, ভোগসহ পছন্দের খাবার খেতে কোনও বারণ থাকে না। সবাই পেট পুজোতে মেতে উঠেন।
উৎসব আমেজে শরীরের কথা ভুলে গেলে চলবে না। জমিয়ে খাওয়া-দাও♓য়া চলবে। কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে কিছু বিষয়ে খেয়াল রেখেই খাওয়া দাওয়া চালিয়ে যেতে হবে। কারণ অসুস্থ হলেই উৎসব আনন্দ, ঘুরে বেড়ানোর সব প্ল্যান নষ্ট হয়ে যাবে। তাই শরীর সুস্থ রেখে খাﷺওয়া দাওয়া চলুক পুজোয় উত্সবে।
ডায়েট না করে শরীরের যত্ন নিতে কীভাবে, কখন, কোন ধর👍নের খাবার খাবেন তা জানাব এই আয়োজনে_
পূজার সকাল থেকেই শুরু হয় ঘোরাফেরা। তাই ঘুম থেকে উঠেই হালকা কিছু হলেও খেয়ে নিন। সকালের নাস্তা কখনও বাদ দেবেন না। সারাদিন ভারী খাবার খেতে হবে ভেবে সকালে না খেয়ে পূজা মণ্ডপে যাওয়া ঠিক হবে না। এতে গরমে ও ক্লা🍷ন্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। পরদিনের সব প্ল্যান শেষ। তাই সকালের নাস্তায় স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। এটি আপনার মেটাব🧸লিজমকে বুস্ট করবে।
পূজার দ♍িন খাবারে নানা আয়োজন থাকে। বিভিন্ন রেস্তোরায়ও খাবারের আকর্ষণীয় পদ রাখা হয়। উত্সবে মুখরোচক খাবার খাবেন না তা হয় না। মুখরোচক যেকোনও খাবারই খাবেন তবে তা ঘরে বানিয়েই খান। ভোগ হোক বা ফাস্ট ফুড কিংবা চাইনিজ খাবার যা꧒ই খাবেন ঘরেই বানিয়ে খাবেন। আত্মীয়ের বাসায়ও গিয়ে খেতে পারেন।
পুজোত🧸ে মিষ্টির পদ থাকবে না তা তো হয় না। খাব🅰ারের শুরুতে কিংবা শেষে মিষ্টি তো পাতে থাকবেই। সেই মিষ্টি ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন। এতে চিনি ব্যবহার করবেন না। বরং গুড় দিয়ে তৈরি করুন মজার মিষ্টির পদ। মিষ্টান্ন। স্বাদের ভিন্নতা আনতে খেজুরের পেস্ট দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন।
খাবার যতই স্বাস্থ্যকর𒁃 হোক অতিরিক্ত খাবেন না। একসঙ্গে বেশি খাবার শরীরের হজম শক্তিকে দুর্বল করে দেয়। মোটা হয়ে যাচ্ছেন, অ্যাসিডিটির সমস্যা হচ্ছে এসব চিন্তা বাদ দিয়ে পূজায় সব খাবারই খেতে পারেন। তবে তা অ🌺বশ্যই পরিমিত পরিমাণে।
সারাদিনের খাবারে চা কফি তো খাচ্ছেন। তালিকায় বুস্টার চা রাখুন। দু কাপ♈ পানিতে দুটো লবঙ্গ, একটা দারুচিনি এবং এক টুকরো আদা দিয়ে ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এতে হজম ক্ষমতা বাড়বে। শরীরও সতেজ থাকবে।
বদহজম হলে দুই কাপ পাඣনিতে ১ চামচ 𝓡জিরে ফুটিয়ে নিন। এটি গরম গরম পান করুন।
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় রেস্তোরাঁয় যেতেই হচ্ছে? এ সময় ডিপ ফ্রাই, বেশি মশলাজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। গ্রিল করা খাবার, তন্দুর খাবারকে বেছে নিন। মোমো খেত🍰ে পারেন। সা𝓀লাদ জাতীয় খাবারও খেতে পারেন।
সবকিছুর মাঝে পানি পান জরুরি। সঙ💝্গে বোতল রাখুন। সারাদিন ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করুন। এছাড়াও ডাবের পানি, ফলের জুস পান করতে পারেন। গরমে শরীর হাইড্রেট রাখতে এটি সহায়তা করবে। ক্লান্তি ভাব হবে না। অনেক শারীরিক সমস্যা থেকেই রেহাই মিলবে।