চিকিৎসকের পরামর্শ

গর্ভাবস্থায় যোনিতে চুলকানি হলে কী করবেন?

নাইস নূর প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২২, ১১:০৬ পিএম

গর্ভাবস্থায় শরীরে নানা পরিবর্তন অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে সাধারণ অসুস্থতার বাইরে ভিন্ন কিছু ঘটলে ꦇগর্ভবতী অনেকে নারী আতঙ্কিত হোন। যেমন অনেকে নারী গর্ভাবস্থায় যোনিপথে চুলকানির অভিজ্ঞতার শিকার হন। ভয়ে কিংবা লজ্জায় এ বিষয়ে চিকিৎসকের কাছে মুখও খুলতে চান না। তবে এই সমস্যা পরে  গুরুতর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন চি🌞কিৎসকরা।

গর্ভাবস্থায় নারীদের যোন🌳িতে চুলকানির এই সমস্যার ❀নিয়ে সংবাদ প্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন রংপুরের প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার  ডা. আরমানা জেবিন কান্তা।

ডা. আরমানা জেবিন কান্তা বলেন, ‘বিষয়টি খুবই সাধারণ হলেও গর্ভাবস্থায় যোনিতে চুলকানি হচ্ছে এ রকম রোগীর সংখ্যা কম নয়। বিভিন্ন সমস্যার কারণেই এটি হতে পারে। যৌন সংক্রামিত রোগ (এসট🍒িডি) কিংবা ঈস্ট সংক্রমণ দ্বারাও যোনিতে চুলকানি হয়।” 

“তবে বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে যা হয়, তা হলো যোনি স্রাব বৃদ্ধি। এ সময় যোনির 🐬প্রাচীর পুরু হয়ে যাওয়ার কারণে যোনি স্রাব বেড়ে যায়। এটাই মূলত চুলকানির প্রধান কারণ। এ ছাড়া গর্ভাব꧋স্থায় সার্ভিকাল মিউকাস বৃদ্ধি, পিএইচ মাত্রার পরিবর্তন, হরমোনগত পরিবর্তনের কারণেও  চুলকানি হতে পারে।”

যোনিপথের চুলকানি থেকে রক্ষার উপায় নিয়েও জানিয়েছেন এই চিকিৎসক। তরুণ এই চিকিৎসক বলেন, “যোনিপথে🍸 জ্বালা সৃষ্টি করলে ভয় পাওয়া যাবে না। অনেক সময় চুলকানির কারণে যোনিপথ লালও হতে পারে। আক্রান্ত স্থান আলতো করে নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। হালকা কুসুম গরম পানির ব্যবহার করা যেতে পারে। ম🔯ূল কথা হলো, যতটা সম্ভব আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার রাখতে হবে।”

“বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আক্রান্ত স্থানে অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম, ট্যাবলꦐেট গ্রহণ বা মলম ব্যবহার করা যেতে পারে।”  

এছাড়া বেশি বেশি পানি পান করলেও চুলকানি থেকে আরাম পাওয়া যায়। তবে গর্ভাবস্থায় রাতের  তুলনায় দিনের বেলায়🌜 বেশি পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। 

ডা. আরমানা জেবিন কান্তা বলেন, ‘গর্ভবতী নারীদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াটা স্বাভাব꧑িক। তবে রাতে ইউরিনের চাপ তুলনামূলক তাদের বাড়ে। তাই দিনের বেলায় যদি পর্যাপ্ত পানি পান করা হয় তাহলে রাতের বেলা প্রস্রাবের জন্য বারবার উঠতে হয় না।’

“চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে যতটা সম্ভব যোনিপথ পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। যোনিপথে ব্যাকটেরিয়া 𝐆যেন না আসে, এ জন্য হতে হবে সতর্ক।”

এছাড়া বেশি গরম পড়লে কিংবা অস্বাস্থ্য♛কর পরিবেশে থাকলে দিনে অন্তত দুইবার গোসল করারও পরামর্শ দিয়েছেন এই চিকিৎসক।