শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কীভাবে বুঝবেন?

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২২, ১২:২৪ পিএম

শরীরে কোনও কিছুর অভাব হলে তা আগেই ধরা পড়ে। যেমন ভিটামিন, ক🅰্যালসিয়ামের অভাবে শরীরে বিভিন্ন অংশে প্রভাব পড়ে। কম পরিমাণে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা কিংবা অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের পর ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। পুরুষ ও নারী উভয়েই ক্যালসিয়ামের অভাবে নানা রোগে ভোগে। বাচ্চাও এর বাইরে নয়। বিশেষ করে নারীদের শরীরে হরমোন পরিবর্তন হলে কিংবা কোনও জেনেটিক কারণে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে পারে। যা শরীরে নানা উপসর্গের মাধ্যমে ধরা দেয়। 

ক্যালসিয়🍷াম  শরীরের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। শরীরকে সুস্থ রাখতে, হাঁড়ের মজবুত ঠꦆিক রাখবে এবং দাঁতকে মজবুক রাখতে, স্নায়ু, পেশি ও হৃদযন্ত্রের সুষ্ঠু কার্যকরিতা বজায় রাখতেও  ক্যালসিয়াম জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা জানান, রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অত্যাধিক🅘 হারে কমে যাওয়াকে হাইপোক্যালসেমিয়া 🅠বলে। যার ফলে শরীরে নানা সমস্যা হয়। যেমন_

  • ক্যালসিয়ামের ঘাটতির ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। একে অস্টিওপোরোসিস বলে। এতে  হাড় জীর্ণ হয়ে যায়। ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। 
  • হাত ও পায়ে অসাড়তাও ক্যালসিয়ামের অভাবের কারণেই হয়। ক্যালসিয়ামের স্তর কমে গেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সবসময় ক্লান্তিবোধ হয়। সারাদিন কাজ করার শক্তি হারিয়ে ফেলে। 
  • ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে পেশিতে ক্র্যাম্প, স্প্যাসম দেখা দেয়। পেশি দুর্বলও হয়ে যায়। ক্যালসিয়ামের অভাবের কারণে পেশি স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে না। 
  • শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবে হলে খিঁচুনি হতে পারে। এতে হাইপোক্যালশেমিয়া বলে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মস্তিষ্ককে অতিরিক্ত উত্তেজিত করে। যার ফলে খিঁচুনি হয়।
  • ক্যালসিয়ামের স্তর কমে গেলে ত্বকেও প্রভাব পড়ে। ত্বকে ময়েশ্চারাইজ থাকে না। শুষ্ক হয়ে উঠে। 
  • ক্যালসিয়ামের ঘাটতির সবচেয়ে বড় প্রভাব পগে দাঁতের উপরে। মাড়ির রোগ ও দাঁত ক্ষয়সহ নানা রোগ হতে পারে।

 

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে যা করবেন  

  • ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনুন। ডায়েটে চিজ বা পনির রাখুন।
  • ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ হলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমে। সকালের রোদে হাঁটুন। খাবারে ভিটামিন ডি-যুক্ত খাবার বেশি রাখুন। 
  • লবণ কম খেতে হবে। অতিরিক্ত লবণ খেলেও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়।
  • ধূমপানের অভ্যাস বাদ দিন।
  • শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে পালং শাক, ব্রোকোলি ও ডুমুরের রস পান করুন। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করা।
  • ক্যালসিয়ামের ঘাটতির পরিমাণ বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ক্যালসিয়ামযুক্ত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। তবে  অতিরিক্ত মাত্রায় সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা ঠিক নয়। এতে কিডনিতে পাথর হতে পারে। যতটা সম্ভব খাবার থেকেই ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুন। 

সূত্র: হেলথলাইন