নতুন মায়েদের সুস্থতায় ১০ পরামর্শ

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২২, ০১:১৪ পিএম

আধুনিক জীবনযাত্রায় এখন অনেকেটাই লাগামছাড়া নারী-পুরুষরা। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস আর দৈনন্দিনের অগোছালো জীবনযাত্রায় তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ছে। সেই প্রভাব পরোক্ষভাবে পড়ছে গর্ভধারণের উপরও। পুরুষদের শুক্রাণু কমে যাওয়া কিংবা মেয়েদের 🅺গর্ভধারণে নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দেখা দিচ্ছে গর্ভপাতের মতো সমস্যাও। তাই  অনেক প্রতীক্ষার পর মা হওয়ার আনন্দটাই হয় ভিন্ন।

নতুন মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং ব𝕴াচ্চাদের প্রতি যত্ন নিতে কিছু বিষয়ে আগ 🗹থেকেই সতর্ক হতে হবে। সন্তান জন্মের পর তাই কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখুন। যা সুস্থ মা ও বাচ্চার জন্য় অত্যন্ত জরুরি। 

  • সন্তান গর্ভে থাকাকালীন নিয়ম মেনে খাবার খেয়েছেন। সন্তান জন্মের পরও সেই নিয়ম মানতে হবে। নিয়ম করে খেতে হবে প্রতিবেলায়। বাচ্চার যত্ন নিতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়ায় অবহেলা করা যাবে না। এটি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য় ক্ষতিকর হবে। যা বাচ্চার উপরও প্রভাব ফেলে। 
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। বাইরের খাবার একদমই খাওয়া যাবে না। অস্বাস্থ্য পরিবেশে তৈরি খাবারও মায়ের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। নতুন মায়েরা সঠিক খাবার খেলেই নবজাতক শিশু পুষ্টি পাবে। অন্তত ৬ মাস শিশু ব্রেস্ট ফিডিং করে। তাই মায়ের অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ প্রয়োজন। 
  • মায়েরা এই সময় অ্যালকোলন থেকে দূরে থাকুন। ধূমপায়ীদের থেকেও দূরে থাকতে হবে। এটি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যা শিশুকেও ক্ষতির সম্মুখীন করে। সন্তান জন্মের পর মায়ের শরীরও অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে শিশু জন্ম নিলে মায়েদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হয়।
  • আধুনিক যুগে অনেকে মেয়েরাই ধূমপানে অভ্যস্ত। সন্তান গর্ভধারণে এবং জন্ম নেওয়ার পর ধূমপান থেকে একেবারেই দূরে থাকুন। ধূমপানে ক্ষতিকারক উপাদান মায়ের শরীরে থাকে। যা পরোক্ষভাবে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
  • সন্তান জন্মের পর ভারী কোনও শরীরচর্চা থেকে বিরত থাকুন। হাঁটাচলা করতে পারেন। যতটা সম্ভব শারীরিকভাবে অ্যাকটিভ থাকুন। এতে শারীরিক জটিলতা কমে। তবে যেকোনও ব্যায়াম করা আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।
  • অতিরিক্ত লবণ ও চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। যতটা সম্ভব চিনি ও লবণ কম খাবেন। এটি মায়ের শরীরকে দুর্বল করে দেয়। শারীরিক জটিলতা বেড়ে যায় এমন খাবার থেকে বিরত থাকুন।
  • সন্তান ব্রেস্ট ফিডিং করে। এই সময় ব্যথা অনুভব হলে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। অনেক মা বিষয়টি এড়িয়ে যান। এটা ঠিক হবে না। নবজাতককে ব্রেস্ট ফিডিং করানোর সময় যেকোনও সমস্যা হলেই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। এই সময় শারীরিক কোনও পরিবর্তণ হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • নতুন মাকে প্রচুর পানি পান করতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চা স্তন্যপান করার সময় পানি পান করা আবশ্যক। এই সময় মায়েরা ডিহাইড্রেশনে ভুগতে পারেন। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করলে মা ও বাচ্চা দুজনই সুস্থ থাকবেন। 
  • নতুন মায়েরা মানসিক চাপমুক্ত থাকুন। সন্তান জন্মের পর মানসিক চাপ ও অস্থিরতা বেড়ে যেতে পারে। যা থেকে মায়ের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। শারীরিক যেকোনও জটিলতা এড়াতে মানসিক কোনও চাপ নেবেন না।
  • নতুন মায়েরা যেকোনও ওষুধ খাওয়ার আগে সাবধান হোন। শরীর খারাপ লাগছে বলে নিজেই কোনও ওষুধ খেতে যাবেন না। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। মনে রাখবেন, নবজাতক শিশু আপনার সঙ্গে জড়িত। আপনি যা খাবেন তার প্রভাব নবজাতকের ওপর পড়বে। তাই যেকোনও ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।