সন্তান জন্মের জন্য মায়ের বয়সটাকেই গুরুত্বপূর্ণ ম꧂নে করা হয়। কিন্তু না, এক্ষেত্রে পুরুষদের বয়সও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক বয়সে পুরুষরা বাবা না হলে সেই প্রভাব অনাগত সন্তানের ক্ষেত্রেও পড়ে। এমনকি বেশি বয়সে বাবা হওয়া অটিজম শিশুর জন্মের অন্যতম কারণও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
পু♑রুষদের বাবা হওয়ার কোনও বয়স নেই, সেই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। তাদের মতে, বয়সের সঙ্গে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান কমতে থাকে। যেসব পুরুষ বেশি বয়সে বাবা হচ্ছেন তাদের সন্তানেরাই বেশি নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডারে ভুগছে। আবার ৪০ বছর পার হতেই অনেকে বাবা হতেও প𓆏ারছেন না।
২০১০ সালের এক সমীক্ষায়ꦿ দেখা গেছে, ৪০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের সন্তানদের অটিজম স্পেকট💟্রাম ডিসঅর্ডার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
জার্নাল অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথে প্রকাশিত এক গবেষণায়ও একই তথ্য জানায়। সেই গবেষণায় জানা যায়, ৪০ বছরের বেশি এবং ২৫ বছর বয়স😼ের কম ছেলেরা বাবা হলে তাদের স্বাস্থ্যের খারাপ পরিণতি হয়। এটি তাদের অকালমৃত্যুর কারণও হতে পারে।
সেই সমীক্ষায় গবেষকরা পরামর্শ দেন, ৩০-৪০ বছর বয়সের মধ্যেই বাবা হওয়ার উপযুক্ত সময়। এতে 🧸পুরুষদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে এবং অকালমৃত্যুও হয় না।
এছাড়াও গবেষকরা পুরুষদের বাবা হওয়ার বিষয়ে বেশকিছু পরামর্শও দিয়েছেন। তাদের মতে, প্রতিদিনের জী💯বনযাত্রার ওপর শুক্রাণুর গুণগত মান নির্ভর করে। যারা নিয়মিত ধূমপান, অ্যালকোহল পান করে তাদের শুক্রাণুর ধারণক্ষমতা, পরিমাণ ও গতিশীলতাও কমে যায়।
এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। এতে শুক্রাণু উৎপাদন বাড়বে এবং মান উন্নত হবে। পোশাক ও চলাফেরার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ রয়েছে। দীর্ঘ ꧙সময় বসে না থাকা, গরম পরিবেশে বেশি সময় না কাটানো এবং স্লিমফিট পোশাক কম পড়ার দিকেও নজর দিতে বলেছেন গবেষকরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া