গ্রীষ্মকালীন ফলে যেমন বাজারে সয়লাব, সবজির উপস্থিতিও কম নয়। প্রতিদিনই টাটকা সবজি কিনছেন। নানা পদও রান্না হচ্ছে। তবে গরমে আরাম পেতে খাবারের তালিকায় নিয়মিত রাখুন কিছু সবজি। মৌসুমে এসব সবজি টাটকা পাওয়া যাবে। তাই স্বাদও হয় অন্য রকম। গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে লাউ, কুমড়া, পটোল, শসা, ঢ্যাঁড়স বেশি খাওয়া হয়। গরমে স্বাস্༒থ্য সুরক্ষায় এসব সবজির নানা পদ পাতে রাখুন নিয়মিত।
লাউ
গ্রীষ্মকালে বেশির ভাগ পরিবারেই লাউ রান্না হয়। এটি ওজন কমায় 🎃এবং হজমেও সাহায্য করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত লাউ তরকারি খেতে পারেন। লাউ সেদ্ধ করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। রায়তার মতো খেতে পারেন। এছাড়া লাউয়ের স্যুপ খেতে পারেন। লাউ, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম এবং টমেটো ভালোভাবে সেদ্ধ করুন। এরপর ব্লেন্ড করে নিন। অল্প মাখন এবং জিরে দিয়ে সেই মিশ্রণটি রান্না করুন। লবণ ও কালো মরিচ দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
পটোল
গ্রীষ্মকালের আরও একটি সবজি হচ্ছে প♒টোল। পটোল ভাজা, দোপেয়াজা, মাছে পটোল ঝোল তরকারি থাকতে পারে দুপুর কিংবা রাতের খাবারে। সবজিটি তারুণ্য ধরে রাখে। গরমেও আরাম দেয়। সর্দি-কাশি কমায় এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া ওজন ঠিক রাখতেও পটোলের জুড়ি নেই। পটোল টুকরো করে কেটে শ্যালো ফ্রাই করে নিতে পারেন। প্যানে জিরা, আদা ও রসুন বাটা দিয়ে দিন। এলাচ, লবঙ্গ ও অন্যান্য মসলা কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে তাতে ফ্রাই করা পটোল ছেড়ে দিন। ঢেকে কয়েক মিনিট রান্না করেও খেতে পারেন পটোল তরকারি।
বেগুন
সারা বছরই বাজারজুড়ে বেগুন পাওয়া যায়। তবে গ্রীষ্মকালে এই সবজির ফলন হয়। তাই টাটকা বেগুন পাওয়ার সময় এখনই। ডায়াবেটিসের রোগীরা বেগুন খেতে পারেন। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণও করে। বেগুন এক ভাজা করে খেতেও মজা। আবার তরকারি রান্নাতেও বেগুন সেরা। মাছের তরকারিতে বা দই দিয়ে বেগুন রান্নার স্বাদ মুখে লেগে থাকে। প্যানে তেল দিয়ে এতে জিরে, আদা রসুনেরꦬ পেস্ট, টমেটো, পেঁয়াজ, লবণ ও হলুদ দিয়ে ভালো ভাবে কষিয়ে এতে কাটা 🍰বেগুন ছেড়ে দিন। তৈরি হয়ে যাবে মজাদার পদ।
ঢ্যাঁড়স
গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স সবারই প্রিয়। ভর্তা, ভাজি কিংবা তরকারি সবভাবে খেতেই এই সবজি বেশ মজাদার। ঢ্যাঁড়শ ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই সবজি উপকারী। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ঢ্যাঁড়স রাখুন। চাইলে স্বাদ বদলে নতুন পদও রান্না করে নিতে পারেন এই সবজি দিয়ে। ঢ্যাঁড়স টুকরো করে কেটে জিরে, আদার পেস্ট, কাঁচা মরিচ🌺, গরম মসলা দিয়ে নাড়ুন। ঢাকনা খোলা রেখেই রান্না করুন। ঢ্যাঁড়শের রং ঠিক থাকবে। ধনে পাতা ছড়িয়ে নামিয়ে নিলেই মজাদার পদ তৈরি হয়ে য💜াবে।
শসা
গরমকালে ব♌েশি করে শসা খাবেন। এটি পেট ঠান্ডা রাখবে। শরীরের তাপকে নিয়ন্ত্রণ করতেও শসা উপকারী। শসা সালাদ বানিয়ে খেতেই বেশ সুস্বাদু। আবার তরকারꦜি রান্নাতেও মন্দ লাগে না। কম মসলা দিয়ে শসার তরকারি রান্না করুন। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।