ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মানবদেহের চালিকা শক্তি। বয়স বাড়লে শরীরে ধীরে ধীরে বাসা বাধে জটিল রোগ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পর্যাপ্ত থাকলে জটিল রোগগুলো শরীরে আঘাত হানতে পারে না এবং রোগ জীౠবাণুর সঙ্গে সহজে লড়তে পারে। কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে অসুস্থতা পেছন ছাড়ে না। একেরপর এক রোগে আক্রান্ত হতেই থাকে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, শরীরে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে কয়েকটি লক্ষণে তা প্রকাশ পায়। প্রধান লক্ষণ হচ্ছে ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে যাওয়া। তাই ইমিউনিটি ঠিক রাখতে সচেতন থাকতে হবে সবাইকে। জীবনযাপনের অভ্যাস, খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ও টিকা গ্রহণের মাধ্যমেও শরীরের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষম꧋তা ♔বাড়িয়ে নেওয়া যায়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হচ্ছে টের পেলেই এসব বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।
আপনার শরীরে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ♑ক্ষমতা কমে যাচ্ছে কীভাবে বুঝবেন? এক্ষেত🐠্রে বিশেষজ্ঞরা কিছু লক্ষণ বা উপসর্গের কথা জানিয়েছেন_
সারাদিন ক্লান্তি বোধ হলে বুঝে নিবেন জটিল কোনো রোগের লক্ষণ। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। রোগ জীবাণুর সঙ্গে ল൩ড়াইয়ের জন্য এই সময় শরীর বেশি এনার্জি ব্যবহার করে। তখনই শরীরে ক্লান্তি চলে আসে। সারাদিন বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে হয়। তখনই বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।
সারা বছরই ঠান্ডা লেগে 🔯আছে? ইমিউনিটি দুর্🌸বল হওয়ার লক্ষণ এটি। বছরে দুই একবার ঠান্ডা লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন দেখবেন অল্পতেই আপনার ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে তখনই বুঝবেন শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও কমছে। ভাইরাস দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা, জ্বর লেগেই থাকে।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে পেটের সমস্যাও বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রোগꦕ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী যেসব কোষ-কলা রয়েছে তার প্রায় ৭০ শতাংশই অন্ত্রে থাকে। তাই 💞রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকলে ডায়ারিয়া, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
শরীরের ইমিউনিটি ক্ষমতা মেজাজের উপরও প্রভাব ফেলে। অল্পতে রেগে যাওয়ꦚা, খিটখিটে হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ারই লক্ষণ। শরীর ভালো থাকে না বিধায় এই ধরণের সমস্যাগুলো হয়।
শরীরের ক্ষত স্থান না শুকানো দুর্বল ইম𒈔িউনিটিরই লক্ষণ। আবার শরীরে যদি ঘন ঘন কেটে গেলে যায় বা ক্ষত হলে এবং তা সেরে উঠতে সময় নিলে বুঝবেন এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার কারণেই হচ্ছে। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।