মুরগির মাংস খাওয়া হয় না এমন পরিবার এখন কমই আছে। বিশেষ করে বাড়ির ছ𓆉োটদের জন্য তো প্রতিদিন মুরগির মাংস চাই। দেশি মুরগিই চাহিদা সবসময়ই রয়েছে। সেই সঙ্গে এখন পোল্ট্রি মুরগির চাহিদাও অনেক। নাস্তা হোক বা দাওয়াতের রান্না মুরগিরই মাংস থাকা চাই।
রোজ মুরগি খাওয়ায় সাবধান করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে একেবারেই না খাওয়া ঠিক নয়। রেড মিটের চেয়ে মুরগির মাংস অনেকটাই নিরাপদ। তাছাড়া কম চর♒্বিযুক্ত মুরগির মাংসের প্রতিটি অংশেই উপকারিতা রয়েছে। সলিড মাংসের পাশাপাশি মুরগির গিলা, কলিজা খাওয়াও উপকার বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, মুরগির কলিজায় ভিটামিন এ ও বি থাকে। যা দৃষ্টিশক্তি ও মস্তিষ্কের বিকাশ করে। বাচ্চাদের জন্য় তো এটি অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীরাও মুরগির কলিজা খ🉐েলে উপকার পাবে। ভিটামিন এ ও বি ডায়াবেটিস রোগও নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ও অপুষ্টির সমস্যাও সমাধান দিবে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মুরগির কলিজায় জিংক ও দস্তার পরিমাণ বেশি থাকে। এই দুটি খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কলিজায় থাকা কোলাজেন ও ইলাস্টিন হৃদরোগ প্রত♌িরোধ করꦜে। কারণ এই বিশেষ উপাদানটি শরীরে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে।
কলকাꦯতার আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বি🦹শেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল জানান, মুরগির কলিজায় অনেক পুষ্টি রয়েছে। এতেনানা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। কোনো রোগ সেরে ওঠার পর শরীরের শক্তি জোগায় মুরগির কলিজা। এতে থাকা আয়রন রক্তাল্পতারও দূর করে। আর ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারটি শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশের যত্ন নেয়।
ডা. রুদ্রজিৎ পাল আরও জানান, মুরগির কলিজা উপকারিতা তখনই পাওয়া যাবে যখন এটা টাটকা খাওয়া হবে। ক্যামিকেল বা মেডিসিন দিয়ে এখন মুরগিকে মোটা তা෴জা করা হয়। ওইসব মুরগির কলিজা নষ্ট হয়ে যায়। তাই টাটকা কলিজা খেলেই উপকার পাবে শরীর।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস