শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় কণ্ঠস্বর ব𝐆া গলা বসে যাওয়া, কথা ফ্যাসফেসে হয়ে যাওয়া খুবই সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। তবে অনেকসময় এই সমস্যা হতে পারে স্বাস্থ্য হুমকির কারণ। বর্তমানে ওমিক্রনের উপসর্গে অন্যতম লক্ষণ এই কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হওয়া। তবে ঠান্ডাজনিত কারণে গলার স্বরের পরিবর্তন হলে, ঘরেই নিতে পারেন প্রাথমিক চিকিৎসা।
চলুন জেনে নেয়া যাক সাধারণ গলা বসায় রোগ🎉ীর প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো—
লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করাটা সবচেয়ে সাধারণ এবং একই সঙ্গে কার্যকর একটি পদ্ধতি। দিনে অন্তত চারবার লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করতে হবে।
গলা ভাঙা উপশমে ভালো আরেকটি পদ্ধতি হলো গরম পানির ভাপ টানা। ফুটন্ত পানির বাষ্প যদি দৈনিক অন্তত ১০ মিনিট মুখ ও গলা দিয়ে টানা হয়, তাহলে উপকার পাওয়া যাবে।
ভাঙা গলায় হালকা গরম লেবুপানি ও আদা বেশ কার্যকর। শুকনো আদায় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে, যা গলার বসে যাওয়া স্বরকে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে।
যারা জোরে কথা বলেন, অথবা যাদের সবসময় কণ্ঠ ব্যবহার করতে হয়, যেমন সংগীতশিল্পী, রাজনীতিবিদ—তারা কিছুদিন কণ্ঠের বিশ্রাম নেবেন। এই বিশ্রামের ফলে শ্বাসনালিতে প্রদাহ কমে আসবে।
লবঙ্গ মুখে রাখতে পারেন। তবে দীর্ঘক্ষণ লবঙ্গ মুখে রাখলে সেটি জিহ্বার চামড়া পুড়িয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে গরম পানিতে লবঙ্গ দিয়ে সেই পানি মুখে দিয়ে গড়গড়া করতে পারেন।
আদা, মধু, তুলশি পাতার রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন। এতে একটুকরো আদা (দুই ইঞ্চি), এক মুঠো তুলশি পাতা ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে এটি তৈরি করে সারাদিন চা বা গরম পানি দিয়ে খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
তবে এমন সব চিকিৎসা অনেক সময় কাজে দেয় না। দিনের পর দিন ধরে গলার স্বর বসে থাকে। গলা দিয়ে কথা বের হতে চায় না। স্বর বদলে যায়। ফ্যাসফেসে আওয়াজ🔯 হয়। এ ধরনের রোগীদের মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশ আরও বিপজ্জনক কোনো রোগের সম্মুখীন হন। তাই জেনে নিতে হবে 🌌বিপদচিহ্নগুলো—
গলা একবার বসে যাওয়ার পর চার থেকে ছয় সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়।
সাধারণভাবে ৫০ বছরের ওপরের যেকোনো রোগীর গলা যদি কোনো কারণ ছাড়া বসে যায়, তবে তা নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। ধূমপায়ীরাও বিপদের মধ্যে আছেন।
গলা বসার সঙ্গে দীর্ঘদিনের কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত, ওজন হ্রাস বা অন্যান্য উপসর্গ যদি থাকে।