সংখ্যালঘু নির্যাতন, প্রতিবাদ জানালেন তারকারা

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১, ০৬:৫৩ পিএম

সম্প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজামণ্ডপে হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের ꦗশিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা। এমন গর্হিত কাজে ক্ষুব্ধ তারা। যেকোন মূল্যে তারা এর দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি চেয়𝄹েছেন।

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান তার ফেসবুকের প্রোফাইল ছবি বদলে সম্পূর্ণ কালো করে দিয়েছেন। এছাড়া রংপুরের সেই অগ্নিসংযোগের ছবি পোস্ট করে নবারুণ ভট্টাচার্যের কবিতা লিখেছেন ক্যাপশনে, “এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না। এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ না। এই বিস্তীর্ণ শ্ম♔শান আমার দেশ না। এই রক্তস্নাত কসাইখানা আমার দেশ না।”

কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা🌠 ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে এক বিশ্রী অনুভূতির মধ্যে বসবাস করছি। গ্লানি, দুঃখ, ক্ষোভ সবকিছু মিলেমিশে একাকার। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে যেন কালো একটা পর্দা পড়ে গেল। ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর তিন লক্ষ নারীর সর্বোচ্চ ত্যাগকে অসম্মানিত হতে দেখলাম। বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ সোনার বাংলাকে ধর্মের ধুয়াধারীরা কলুষিত করতে উদগ্র♎ীব। কিন্তু আর না! নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে হবে।”

তিনি আরও লেখেন, “দেশকে এই কুচক্রীদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। যারা ষড়যন্ত্র করে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে, তাদেরকে ওবলছি— ‘বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ঘুঘু তোমার বধিব পরাণ’। বাংলাদেশ এখন পুরোটাই ডিজিটাল। তোমরা সবাই চিহ্নিত, তোমাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, আইনের শাসন দিয়েই তোমরা শাস্তি পাবে। সহনশীল হবার দিন শেষ।”

নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর সৈনিক উল্লেখ করে স্ট্যাটাসের শেষ অংশে তিনি লিখেছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা আপনার সৈনিক, আপনি আদেশ করেন; ৭১-এ পারিনি, ২০২১-এ দেশের জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত༒।”

প্রখ্যাত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেসবুকে লিখেছেন, “এখন আমরা কী করতে পারি? ঘটনা যা যা ঘটেছে সেটা ঠিকঠাক তদন্ত করে সবার সামনে তুলে ধরা। দ্রুততার সাথে এই হামলার ঘটনাগুলার সাথে যারা যারা জড়িত তাদের শাস্তির🐟 ব্যবস্থা করা। আগামীতে যেনো এইরকম কিছু না ঘটে তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেয়ার সেটা নেয়া। আলেম সম্প্রদায়ের উচিৎ এই ঘটনার নিন্দা করে বয়ান দেয়া। তবে সবচেয়ে বেশি দরকার যেটা, সেটা হচ্ছে—প্রত্যেকেই যার যার জায়গা থেকে এই ঘটনার নিন্দা করা। হিন্দু বন্ধু এবং প্রতিবেশীকে জানানো, তুমি একা নও! এখন তাকে একা বোধ না করতে দেয়াই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কাজ! এই সময় এক জগতবিধ্বংসী ক্ষোভ-অভিমান চেপে বসে। তার হাতটা চেপে ধরে বলি চলেন, ইউ আর নট অ্যালোন।”

জনপ্রিয় নায়ক সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, “আমাদের বন্ধুরা ঈদের দিন বাসায় আসে। আমাদের সাথেই আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়। বিপদে পড়লে সবার সাথে তারাও ছুটে আসে। একবারের জন্য মনে হয় নাই ওরা হিন্দু না মুসলমান। ২০২১ সালে এসে আমর🦋া কী প্রমাণ করতে চাইছি? আমরা তো এমন দেখিনি! আমাদের সাম্প্রদায়িকতা তো এমন না! আমার দেশ জ্বলছে, আমাদের দেশ জ্বলছে🥀।”

প্রসঙ্গত, দুর্গোৎসবে কুমিল্লায় কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযো൩গে মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়। সেই জের না কাটতেই কাবা শরীফ নিয়ে ফেসবুকে বিতর্🔥কিত পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে রংপুরের পীরগঞ্জে আগুন দেওয়া হয় হিন্দুপল্লীতে।