৬৭-তেও ষোড়শী কন্যা রোজিনা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২২, ০২:৫৯ পিএম

বাংলা চলচ্চিত্রে আশির দশকের দর্শকপ্রিয় চিত্রনায়িকা রোজিনা। ক্যার🅺িয়ারের দীর্ঘ সময় অভিনয় আর তার সৌন্দর্যে দর্শককে মুগ্ধ করে রেখেছেন তিনি। সম্প্রতি এই গুনী অভিনেত্রীকে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সরব দেখা যায়। প্রায় নতুন নতুন লুকে পর্দায় আসছেন নায়িকা রোজিনা।

কখনো লাল বেনারসিতে নতুর বধুর ൩সাজে, তো কখনো আটপৌরে শাড়িতে একেবারে অনন্য কন্যা। সম্প্রতি রোজিনার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে নায়িকাকে দেখা যাচ্ছে একেবারে নতুন সাজে। ছবিতে পরনে লাল রঙের লেহেঙ্গা। চো♎খে কাজল। কানে দুল। চুলগুলো দু’কাঁধে আলগা করে ছেড়ে দেওয়া। চোখে-মুখে হাসির ঢেউ— এমন রূপে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।

৬৭ বছর বয়সে এমন সাজে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রোজিনা। তবে এসব কোনো নাটক বা সিনেমার জন্য নয়। একটি ফটোশুটের জন্য এমন রূপে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন 🐲তিনি।

এই ফটোশুটের কোরিওগ্রাফি করেছেন তানজিল জনি। তিনি বলেন, অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল চিত্রনায়িকা রোজিনা ম্যাডামকে নতুন একটা লুকে নিয়ে আসার। অবশেষে সেই কাজটি করতে পারলাম। এম🧸ন গুণী অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পেরে দারুণ লাগছে।

গত বছরের ডিসেম্বর বধূ সেজে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন রোজিনা। শুধু তাই নয়, নিজেকে বধূ রূ🐽পে দেখে নিজেই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। ফের নতুন লুকে দর্শকদের চমকে দিলেন এক সময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা।

রোজিনা চলচ্চিত্রে আসার আগে মঞ্চ নাটক করতཧেন। তখন তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনেও কাজ করেন। ১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। এফ কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমায় একক নায়িকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। আশি দশকে প্রথম সারির নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

শুধু দেশে নয়, খ্যাতনামা এই অভিনেত্রী পশ্চিমবাংলার তাপস পাল, মিঠুন চক্রবর্তী, পাকিস্তানের জনপ্রিয় নায়ক নাদিমসহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ💎্যাত বহু অভিনেতার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করে🙈ছেন।

১৯৮০ সালে ‘কসাই’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন রোজিনা। ১৯৮৮ সালে ‘জীবনধারা’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। শ𝔍্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি বাচসাস পুরস্কারও পেয়েছেন।

‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘সাহেব’, ‘তাসের ঘর’, ‘হাসু আমার হাসু’, ‘হিসাব চাই’, ‘বন্ধু আমার’, ‘কসাই’, ‘জীবনধারা🧔’সহ তার অভিনীত অধিকাংশ সিনেমাই ব্যবসাসফল।