মাসার মৃত্যুর প্রতিবাদে চুল কেটে ফেলছেন ফরাসি শিল্পীরা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২, ১১:৩৮ এএম

ইরানে পুলিশ হেফাজতে কুর্দি তরুণ𝓡ীর মৃত্যুর ঘটনায় নিজেদের চুল কেটে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফ্রান্সের অর্ধশত অভিনেত্রী ও গায়িকা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অস্কারজয়ী অভিনেত্রী মারিয়ন কঁতিয়া, জুলিয়েট বিনোশ, ইজাবেল উপের, বেরেনিস বেজো, শার্লোট গেইন্সবুর্গ ও ইজাবেল আজানি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেসব দৃশ্য ভাইরাল। ইনস্টাগ্রামে ইরানি নারীদের সমর্থনে খোলা অ্যাকাউন্ট থেকে বুধবার (৫ অক্টোবর) ‘হেয়ার ফর ফ্রিডম’ হ্যাশট্যাগসহ শেয়ার করা একটি ভিডিও সংকলনে ফরাসি তারকাদের প্রতিবাদ দেখা গেছে। এর নেপথ্যে ইতালীয় প্রতিবাদী গান ‘বেলা চাও’-এর ফার্সি সংস্করণ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তারকা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নারীরা চুল⛄ কেটে ইরানি নারীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।

ভিডিওর শুরুতে নিজের মাথার লালচে বাদামিরঙা এক গ♌োছা চুল কেটে ক্যামেরার স🌞ামনে ধরে জুলিয়েট বিনোশ বলেন, ‘স্বাধীনতার জন্য।’

গত ১৩ সেপ্টেম্বর ই🐽রানের কঠোর পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ২২ বছর বয়সী মাসা আমিনিকে তেহরানে আটক করা হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি অজ্ঞান হয়ে কোমায় চলে যান। এর তিন দিন পর (১৬ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ যদিও বলছে, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে মেয়েটি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালা🔴নো হয়েছে।  

এ ঘটনায় ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়ি💯য়ে পড়ে। রাজপথে নামা আন্দোলনকারীদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে লন্ডন, প্যারিস, রোম, মাদ্রিদসহ বিভিন্ন দেশের সচেতন নাগরিকরা। এবার নাড়া লাগলো ফরাসি তারকাদের মনে।

আন্তর্♒জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী রিচার্ড সিদিও চুল কাটার বিষয়টি সমন্বয় করেছেন। তার চোখে, ইরানি নারীরা আন্তর্জাতিক সমর্থন আশা করেন। তাদের প্রতি সেই সমর্থন দেখানোর একটি সুন্দর উপায় চুল কেটে প্রতিবাদ জানানো। তিনি রয়টার্সকে বলেন, “শুধু অভিনেত্রীরাই নয়, আশা করি বিশ্বের সবাই এমন পথ অনুসরণ করবে। পুরুষরাও তাদের চুল ফেলে দিতে পারে। আমি মনে করি, এটাও ঘটবে।”


ইনস্টাগ্রামে ইরানি নারীদের সমর্থনে খোলা অ্যাকাউন্টে দাবি করা হয়, পুলিশের নির্যাতনের কারণে মাসা 🦹আমিনি অকালে প্রাণ হারিয়েছে। যথাযথভাবে হিজাব না পরায় তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়। মাথার হাতেগোনা কয়েকটি চুল দেখা যাওয়ার কারণে তাকে মেরে ফেলা হলো। সেই পোস্ট ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

পোশাকের ক্ষেত্রে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের কঠোর নিয়ম প্রয়োগ করে থাকে ইরানি পুলিশ। তাদের হেফাজতে মাসা আমিনির মৃত্যু হওয়ায় ইরান সরকার ভীষণ চাপে পড়েছে। দেশটিতে কঠোর পোশাকবিধি বাতꦬিল এবং নারীদের অবাধ চলাচলের স্বাধীনতার দ🦹াবি উঠেছে।

ফরাসি চলচ্চিত্র জগতের হাজারও কলাকুশলী ইরানিদের বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে সই দিয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্বর্ণ পামজয়ী পরিচালক জ𝓀ুলিয়া দুকুরনো, জ্যাক অদিয়ার, কান চলচ্চিত্র উৎসবের পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমো, অভিনেত্রী লেয়া সেদু, ভার্জিনি এফিরা, মেলানি লহোঁ প্রমুখ।