অনুমতি না নিয়ে গানের রিমেক করায় ক্ষুব্ধ ফাল্গুনী

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ০১:১৪ পিএম

নব্বইয়ের দশকের ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে ‍‍`ম্যায়নে পায়েল হ্যায় ছানকাই‍‍` শ⭕ুনে। ভালোবাসার প্রথম অনুভূতি বোঝাতে এর চেয়ে ভালো গান আর বোধহয় ছিল না সেই সময়। বলিউডের রিমেক ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে এই গান গেয়েছেন নেহা কাক্কড়, গানের টাইটেল ‍‍`ও সাজনা‍‍`। কিন্তু সেই গান শুনে তো ভীষণ ক্ষেপেছেন নেটিজেনরা! নেহা কাক্কড়ের ‍‍`অটো টিউন‍‍` করা ভার্সন শুনে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ফাল্গুনী ভক্তরা।  

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‍‍`ম্যায়নে পায়েল হ্যায় ছানকাই‍‍` বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন ফাল্গুনী। খানিকটা ক্ষোভ আর আক্ষেপের সুরে ৫৩ বছর বয়সী গায়িকা জানান মিউজিক লেবেল কিংবা নেহা কাক্কড়ের পক্ষ থেকে তাকে এই রিমেক সম্পর্কে আগাম কোনো ত💞থ্যই দেওয়ানি, অনুমতি নেওয়া তো দূরের কথা! ফাল্গুনী আরও জনান, তিনি নেহা কাক্কড়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে ইচ্ছুক কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওই গানের কপিরাইট তার কাছে 🌄নেই।

আগেই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নেহার ‍‍`ও সাজনা‍‍` গান নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া শেয়ার করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন ফাল্গুনী। এবার তিনি জানালেন, “আমি সত্যি অভিভূত এবং আল্পুত, এই গানটার প্রতি মানুষের আজও এত ভালোবাসা আছে দেখে আমি মুগ্ধ। তাই তাদের সেই ভাবন🍷া শেয়ার করে নেওয়াটা আমার কর্তব্য।”

নেহা কাক্করের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভ🐭াবছেন গায়িকা? প্রশ্ন শুনে ফাল্গুনীর সপাট জবাব, “যদি আমি পারতাম… কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতꦰ ওই গানের কপিরাইট আমার কাছে নেই।”

১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল ফাল্গুনী পাঠকের ‍‍`ম্যায়নে পায়েল হ্যায় ছনকাই‍‍`। এই গানের মিউজিক ভিডিও ছিল সুপারহিট। সেখ♏ানে অভিনয় করেছিলেন ছিলেন ভিভান ভাটেনা এবং নিখিলা পালট। কলেজ ফেস্টের আবহ, আর সেখানেই কলেজের সবচেয়ে হট কন্যার ♊প্রেমিকের চোখাচোখি নিখিলার সঙ্গে। দুঃসময়ে কেমনভাবে সেই হয়ে উঠবে তার ‍‍`স্বপ্নের রাজকুমার‍‍` সেই গল্প আজও গেঁথে রয়েছে নাইন্টিজ-এর কিডসদের।

এই বিষয় নিয়ে এখনও সরাসরি মুখ খোলেননি নেহা। তবে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করেন গায়িকা। নেহা ইনস্টায় লিখেছেন,“আমি আজ কেমন বোধ করছি। আমি জীবনে যা পেয়েছি তা পৃথিবীর খুব কম মানুষ পায়। সেটাও এত কম বয়সে। যে ধরনের জনপ্রিয়তা, ভালোবাসা, একাধিক হিট গান, সুপার ডুপার হিট টিভি শো, ওয়ার্ল্ড ট্যুর, একদম খুদে থেকে ৮০-৯০ বছরের ভক্ত, আরও কত কী… আপনারা জানেন আমি কেন এসব পেয়েছি। আমার গুণ, আমার কঠিন পরিশ্রম, ইতিবাচক মনোভাবের কারণে। আমি আজ শুধু সৃষ🥀্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, আর আমার সেইসব ভক্তদের যারা আমাকে ভালোবাসা দিয়েছে এত পরিমাণে। ধন্যবাদ। আমি ঈশ্বরের সবচেয়ে আশ💮ীর্বাদ পাওয়া সন্তান। সবাইকে আবার ধন্যবাদ। তোমাদের সবার জীবন আনন্দে ভরে উঠুক।”