বাংলা চলচ্চিত্রে একটি জনপ্রিয় নাম নায়ক ফেরদৌস। তার অভিনীত অসংখ্য চলচ্চিত্র ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। আজীবন মিষ্টি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিনেমায়, বাসꦓ্তবেও তিনি খুব মিষ্টি কথার মানুষ। সম্প্রতি মুক্তির অপেক্ষায় তার অভিনীত সিনেমা ‘বিউটি সার্কাস’। এখানে নেতিবাচক চরিত্রে দর্শক দেখবে তাকে।
২৩ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ফেরদৌস-জয়া অভিনীত সিনেমাটি। তারই প্রচারণার লক্ষ্যে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অডিটোরিয়ামেಌ সাংবাদিক ডেকে কথা বলেন ফেরদৌস-জয়াসহ ছবির নির্মাতা মাহমুদ দিদার, অভিনেতা এবিএম সুমন, কণ্ঠশিল্পী সুমিসহ 🗹অনেকেই।
‘বিউটি সার্কাস’-এ নেতিবাচক চরিত্রে প্রথমবার হাজির হচ্ছেন ফেরদৌস। এ প্রসঙ্গে নজানতে চাইলে অভিনেতা বলেন, “এই ধরনের চরিত্রে আর অভিনয় করিনি এবং জীবনেও করবো না। সিরিয়াসলি। আমি সমসময় একটা পজিটিভ ইমেজ নিয়ে পর্দায় এসেছি। দিদার আমাকে কনভিন্স করেছে কাজটি করার জন্য। শুটিং স্পটে গিয়েও ভেতর থেকে মন বলছিল- কাজটা করা উচিত হচ্ছে না। আবার ছবিটির গল্প আর আমার চরিত্রটি বলছে- কাজটা করা উচিত। শেষ পর্যন্ত♛ কাজটি আমি আনন্দ নিয়েই করেছি। এখন মনে হচ্ছে, এটা আমার শিল্পীমনেরই জয় হয়েছে।”
ফেরদৌস মনে করেন, শুধু বিলুপ্ত সার্কাস নিয়েই নয়, ♎বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়েও এখন সিনেমা হওয়া দরকার!
এ প্রসঙ্গে নায়ক বলেন, “দুই যুগ ধরে এই সিনেমায় কাজ করছি। এটাকে ভালোবাসি বলেই কাজটা করছি এখনও। ফলে মানুষ যখন বলে, বাংলা সিনেমা ধ্বংস হয়ে গেছে বা যাচ্ছে। তখন বুকটা কেঁপে ওঠে। মেনে নিতে পারি না। সেজন্য এখন আমার মনে হয়, সার্কাস নিয়ে যেমন সিনেমা হয়েছে, আমাদের চলচ্চিত্র নিয়েও তেমন সিনেমা হওয়া দরকার। সার্কাস, যাত্রা হারিয়ে গেছে। অথচ এগুলো আমাদের মূল সংস্কৃতির বড় একটা অংশ ছিল। এর সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ জড়িত ছিল। সব হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে সিনেমাটাও হারিয়ে যাওয়ার আগে, এটার নানাꦅ বিষয় ধরে সিনেমা বানানোর সময় এসেছে।”
ফেরদৌস মনে করেন, দর্শক সবসময় ভালো সিনেমা দেখতে চায়। ভালো সিনেমা পেলেই হলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। উদাহরণ হিসেবে তিনি টেনে আনেন ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’, ‘বীরত্ব’ আর মুক্তিপ্রতীক্ষিত ‘অপারেশন সুন্দরবনে’র কথা। তার বিশ্বাস ‘বিউটি সার্কাস’ও একই কারণে মানুষ দেখবে।