প্রয়াত শক্তিমান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের আজ জন্মদিন। ১৯৪১ সালের আজকের এই দিনে নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ ✃করেন এই অভিনেতা।
১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন এ টি এম শামসুজ্জামান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, 🍌‘মাটির ঘর’, ‘মাটির কসম’, ‘চিৎকার’, ‘লাল কাজল’ ইত্যাদি।
১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এ টি এম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক হয়। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায🍃়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহি🔴কে অভিনয় করেছেন তিনি।
চলচ্চিত্রে তিনি কাজ শুরু করেন কৌতুক অভিনয়শিল্পী হিসেবে। ‘জলছবি’, ‘যাদুর বাঁশি’, ‘রামের সুমতি’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ চলচ্চিত্রে তাকে কৌജতুক চরিত্রে দেখা যায়। অসংখ্য চলচ্চিত্রে খলনায়কের ভূমিকায়ও দেখা গেছে তাকে। এরমধ্যে রয়েছে- ‘নয়নমণি’, ‘লাঠিয়াল’, ‘অশিক্ষিত’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘স্বপ্নের নায়ক’ প্রভৃতি সিনেমা। এ ছাড়া ‘অনন্ত প্রেম’, ‘দোলনা’, ‘অচেনা’, ‘মোল্লাবাড়ির বউ’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘চোরাবালি’র মতো বেশ কিছু চলচ্চিত্রে পার্শ্বচরিত্রে 𓆏অভিনয় করেন তিনি।
বরেণ্য এ ꧅অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। যেখান🦹ে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন রিয়াজ ও শাবনূর। ছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামানও নিজেও।
অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ জীবদ্দশাতেই একুশে পদক পেয়েছিলন এ টি এম শামসুজ্জামান। এ ছাড়া পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ꩲক্যাটাগরিতে জাতীয় পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে 🃏না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন।
২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি অগণিত ভক্ত-শুভাকাঙক্ষী ও বন্ধু-স্বজনদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান এই অভিনেতা।