জন্মদিন কাটছে হাসপাতালে

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১, ০১:৩২ পিএম

বরেণ্য চলচ্চিত্র অভি🔴নেতা ফারুকের জন্মদিন আজ। ৭৪ বছরে পা দিলেন তিনি। ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এ নায়কের শৈশব-কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে পুরান ঢাকায়। পাঁচ বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

আগস্ট মাসে জন্মদিন হওয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে তিনি জন্মদিন পালন করেন না। তবে অনুরাগী ও সহকর্মীরা নানাভাবে ౠতাꦑকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকেন।

এবার জন্মদিনটা সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কাটছে ফারুকের। এক বছর ধরে তিনি সে🦂খানে চিকিৎসাধীন। দীর্ঘ সময় কোমায় থাকলেও এখন জ্ঞান ফিরেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছಌেন তার স্ত্রী ফারহানা ফারুক।

ফারুক স্কুলজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে যোগ দেন এবং এ সময়ে🌃 তার নামে প্রায় ৩৭টি মামলা করা হয়। এরপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

প্রথম জীবনে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি&rsqu𝓡o; চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক। ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘আবার তোরা মা𝔉নুষ হ’, ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘আলোর মিছিল’—দুটিতে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন।

এরপর ১৯৭৫ সালে গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত ‘স꧂ুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ দুটি ব্যবসাসফল ও আলোচিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং সে বছর ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত ৩টি সিনেমা ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘মাটির মায়া’ ও ‘নয়নমনি’। আর এই চলচ্চিত্র ৩টি বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। পরের বছর শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত কালজয়ী উপন্যাস ‘সারেং বৌ’ অবলম্বনে নির্মিꩲত ‘সারেং বৌ’ ও আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

এ চলচ্চিত্র দুটি নারীকেন্দ্রিক হলেও তার অভিনয় 🅺সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে। ১৯৭৯ সালে তার অভিনীত ‘নাগরদোলা&rღsquo;, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘কথা দিলাম’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সাহেব’, ‘ছোট মা’, ‘এতিম’, ‘ঘরজামাই’ চলচ্চিত্রগুলো ব্যবসাসফল হয়।

১ꦑ৯৮০ সালে ‘সখী তুমি কার’ ছায়াছবিতে শাবানার বিপরীতে শহুরে ধনী যুবꦉকের চরিত্রে অভিনয় করে সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে মিয়া ভাই চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে মিয়া ভাই হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান 𝓀রাখার জন্য ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৬’ তাকে আজীবন সন্মাননা দেওয়া হয়।