প্রেমের বিয়ে, তবু আলাদা থাকতেন দু‍‍জন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২২, ০২:৪১ পিএম

টালিউডের দু‍‍জন কাজপাগল মানুষ তরুণ মজুমদার ও সন্ধ্যা রায়। বাস্তব জীবনে এই তারা স্বামী-স্ত্রী। সোমবার (৪ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টার দিকে এসএস🍸কেএম হাসপাতালে তরুণ মজুমদার শেষনিশ্বাস ত্🥀যাগ করেন। স্বামীর মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন সন্ধ্যা।

সন্ধ্যা রায় বলেন, ‘‘জানি না আজ কী বলব। আজ গুছিয়ে কথা বলার দিন নয়। ♌অন্য এক দিন যোগাযোগ করা হলে হয়তো অনেক কিছু বলতে পারব। ওকে নিয়ে কথা বলতে গেলে শেষ হবে না। অনেক স্মৃতি আছে। ২৫ বছরে তো কম স্মৃতি তৈরি হয়নি। ওকে💃 শেষবার দেখতে যাব কি না, জানি না। ও অনেক কিছু করেছে। আমি শুধু সঙ্গী মাত্র।’’

অসুস্থতার খবর জানার পর থেকেই নাওয়া-খাওয়া ভুলেছিলেন। তরুণ মজুমদারকে দেখতে এসএসকেএম-ও ছুটে গিয়েছিলেন সন্ধ্যা। তবে সﷺিসিইউতে থাকায় দেখা পাননি।

এদিকে বেশ কয়েক ধরেই আলাদা থাকতেন দু‍‍জনে। এর কারণ যদিও খোলাসা করেননি কেউই কখনো। কেউ কেউ বলছেন খা♛তায় কলমে এখনো তারা স্বামী-স্ত্রী, আবার কেউ কেউ বলছেন বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল বছর কয়েক আগেই। তবে কাজপাগল দুটো মানুষই ব্যক্তিগ🐲ত জীবন নিয়ে কথা বলেননি কখনোই সেভাবে।

ষাট-সত্তরের দশক ছিল তরুণ মজুমদার-সন্ধ্যা রায় জুটির। ‘একটুকু বাসা’ এবং ‘আলোর পিꦗপাসা’ ছবি দুটি বানিয়েছিলেন তরুণ মজুমদার। যথাক্রমে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং বসন্ত চৌধুরী নায়ক। দুটি ছবিতেই নায়িকা সন্ধ্যা রায়। এই জুটির জনপ্রিয় ছবি ‘ঠগিনী’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘পলাতক’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘কুহ♈েলি’, ‘সংসার সীমান্তে’। এ ছাড়া, ‘বালিকা বধূ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’সহ তরুণবাবুর প্রায় সব ছবিতেই সন্ধ্যা রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।