রূপঙ্করের মন্তব্যে ক্ষিপ্ত কেকের অনুরাগীরা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২, ১১:৫৭ এএম

ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথ (কেকে) আর নেই। মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে কলকাতায় গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। কেকের আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তার ভ💧ক্তকুল। অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না কেকে আর নেই।

এরই মধ্যে নেটমাধ্যমে তাকে নিয়ে বাংলার অনুরাগীদের এই উল্লাস যেন চোখে বিঁধেছে জাতীয় পুরস্কারজয়ী গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর। ভরতের সংগীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচীর মন্তব্যে ক্ষিপ্ত এখন কেকের অনুরাগীরা।  রূপঙ্কর তার মন্তব্যে বলেন, ‘‘কেকে সত্যিই খুব ভাল গায়ক। কিন্তু ওর লাইভ ভিডিয়ো দেখার পরে উপলব্ধি হল, কেকে জাতীয় স্তরে যে জনপ্রি🐲য়তা পেয়েছেন বাংলার শিল্পীরা কোনও অংশে কম নন। আমি, রূপম ইসলাম, অনুপম রায়, ইমন চক্রবর্তী, সোমলতা আচার্য— আমরা সবাই কেকের থেকে ভালো গান গাই!’’

এই বক্তব্যের জন্য কটাক্ষের স্বীকার হয়েছেন সংগীতশিল্পী রূপঙ্কর। সঙ্গে সঙ্গে তেড়ে এসেছেন নেট ব্যবহারকারীরা। পোস্টে মন্তব্য করেছেন অনেকে। তাদের মতে, “আপনার প্রতি যাদের যে শ্রদ্ধাটুকু আছে সেটুকুও হারাবেন। ভাল ꦬথাকুন সু൲স্থ হয়ে উঠুন।” 

কেউ আবার তাকে ‘হিংসুটে’ তকমাও দিয়েছেন! লিখেছেন, “মিস্টার বাগচী, আপনাকে বলছি। শুনুন। সবার প্রথমে একটা দশমিক বসান, তার পরে একশটা শূন্য বসিয়ে একটা এক লিখুন। তার পরে একটা পার্সেন্টেজ চিহ্ন বসান। যে সংখ্যাটা দাঁড়াল, শতকরা সেই ভাগটুকু যদি আপনার যোগ্যতা থাকত একজন শিল্পী হওয়ার, তা হলে আপনি এই কথাগুলো বলতে পারতেন না। আপনি পুরোপ💞ুরিভাবে আত্মকেন্দ্রিক এবং হিংসুটে একজন মানুষ।”

কোন অনুভূতি থেকে হঠাৎ এই ধꦍরনের মন্তব্য রূপঙ্করের? কেকে-র প্রতি কেনই বা এত রাগ তার?

জানতে গায়ক বলেন, ‘‘কেকে-র প্রতি আমার কোনও রাগ নেই। শুধু কেকে কেন, অন্য ভাষার কোনও গায়ক বা গায়িকার প্রতিই আমার অসূয়াও নেই। আমার অনুরোধটুকুই কেউ বোঝেননি। ফেসবুকে আমি বলেছি, আপনারা মুম্বইকে নিয়ে এত মাতামাতি করে যাচ্ছেন। দক্ষিণ ভারতকে দেখুন, পঞ্জাবকে দেখে শিখুন, ওড়িশাকে দেখুন। বাঙালি হন। বাঙালি হন প্লিজ!’’ ‘বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান’-এর মতোই কি এ বার ‘বাংলা গানের পাশে দাঁড়ান’ বলতে চাইছেন তিনি? গায়কের ব্যাখ্যা, তাঁর দাবি, বাংলার যে কোনও জিনিসের প্রতি একই উন্মাদনা থাকুক বাঙালির। সেটা বাংলা গান, ছবি, আঁকা, সংস্কৃতি— যা খুশি হতে পারে। অন্য ভাষাভাষীদের নিজের ভাষার প্রতি সেই সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালবাসা আছে। তাই সেই ভাষার শিল্প-সংস্কৃতির এত অগ্রগতি। তার পরেই রূপঙ্কর ফের কড়া সমালোচক, ‘‘আমি জানি, আমার এই বক্তব্য অধিকাংশ📖 জনই বোঝেননি। কিচ্ছু করার নেই। মাথায় গোবর পোরা থাকলে এই অনুভূতি বুঝবেন কী করে?’”