নির্বাচনী আমেজে মেতে উঠেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণ। বড় পর্দার শিল্পীদের পদচারণে মুখরিত এখন বিএফডিসি।নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছেন ঢাকাই চলচ𝔉্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমী।
ভোট দিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত&nb༒sp;এই নায়িকা। ভোট দেওয়া শেষে মৌসুমী বলেন, ‘‘আমরা দর্শকদের বোঝাতে পারি না। যেই প্রার্থী হোক নির্বাচনে, ভোটের পর সবাই আবার এক হয়ে যায়। কারণ, যখন সবাই একসঙ্গে সংগঠনের জন্য কাজ করে, সে যেকোনো প্যানেলের হোক অন্তর থেকেই কাজটা করা হয়। আমাদের জন্🐷যই তো আমরা করছি। এ জায়গাটাতে কোনো ভেদাভেদ থাকে না। আর শিল্পী সমিতিতে আমরা সবাই এক হয়ে যাই।’’
নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে নায়িকা মৌসুমী বলেন, “গত ইশতেহার অনুযায়ী মিꦜশা-জায়েদের প্যানেল ভালো কাজ করেছে। যে কাজগুলো করতে পারেনি তা-ও ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ভোট শুরু হয়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) অবস্থিত শিল্পী সমিতির স্টাডি রুমে ভোট 🐽চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচনে ৪২৮ জন ভোটার ২১টি পদে তাদের প্রত꧙িনিধি বাছাই করবেন।
এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন ইলিয়াস 🐬কাঞ্চন ও নিপুণ। অন্যটিতে ম🍌িশা সওদাগর ও জায়েদ খান।
মিশা-জায়েদের প্যানেল থেকে যারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই তালিকায় দেখা গেল জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমীর নামও। তিনি কার্যকরী সদস্যপদে লড়ছেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, ২০১৯-২০২১ মেয়াদের নির্বাচনে মৌসুমী ছিলেন মিশা-জায়েদের প্রতিপক্ষ। ওই নির্ব꧒াচনে মৌসুমীর পুরো প্যানেল পরাজিত হয়েছিল।
এবার সেই মিশা-জায়েদের দলেই ভিড়লেন মৌসুমী। কিন্তু কেন? প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে চারদিকে। উত্তর দিলেন নায়িকা। গণমাধ্ওযমকে মৌসুমী বলেন, ‘‘গত বছর থেকেই দেখে আসছি মিশা-জায়েদ শিল্পীদের জন্য ভালো কাজ করছে। বিগত দিনে তাদের কাজগুলো দেখলে🌄ই বুঝতে পারবেন শিল্পী সমিতির হয়ে তারা সবগুলো কাজই ভালো করেছে। আমি তাদের সেই ভালো ভালো কাজের সমর্থক হিসেবেই তাদের প্যানেলের হয়ে দাঁড়িয়েছি।’’
এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্𒁏বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিএফডিসির গেটে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শিল্পী ꦍসমিতির সদস্য ছাড়া অন্য কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোটারদের আইডি কার্ড প্রদর্শন করে ভেতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
এবার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন পীরজꦐাদা হারুন। তার সঙ্গে থাকছেন বিএইচ নিশান ও বজলুর রশীদ🅘 চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকছেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।