বিশ্বে বাংলা ভাষার প্রথম টেলিভিশন হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিꦑভি)। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত এই গণমাধ্যমটি বদলেছে আমূল। সেই ধারাবাহিকতায় এবার বিটিভির পর্দায় যুক্ত হলো এইচডি (হাই ডেফিনেশন) ঝলক। যার ফলে আরও স্বচ্ছভাবে চ্যানেলটির সকল আয়োজন উপভোগ করতেꦰ পারবেন দর্শকরা।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি গৌরবোজ্জ্বল ৫৭ বছর পেরিয়ে ৫৮ বছরে প🌠দার্পণ করে। এ উপলক্ষে বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রে এদিন সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এইচডি সম্প্রচারের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ । এইচড✱ি সম্প্রচারের উদ্বোধন ছাড়াও তথ্যমন্ত্রী বিটিভির ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্ণার, রঙতুলিতে বঙ্গবন্ধু চিত্রকর্ম উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন এবং বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক ম. হামিদ বিশেষ অ💃তিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানগণ, বিটিভির তালিকাভুক্ত প্রবীণ ও নবীন শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশে বেস꧃রকারি টেলিভিশনগুলো যারা পরিচালনা করছেন এবং প্রথিতযশা যেসব টিভি সাংবাদিকরা রয়েꦑছেন, তাদের অনেকেরই হাতেখড়ি বাংলাদেশ টেলিভিশনে। তাই বিটিভি হচ্ছে সকল টেলিভিশন চ্যানেলের আতুরঘর।”
বিটিভির ৫৮ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, “বাংলাদেশ টেলিভিশন ১৯৬৪ সালে যাত্রা শুরু করেছিল। এই উপমহাদেশে তথা সমগ্র বিশ্বে এটি প্রথম বাংলা ভাষার টিভি চ্যানেল। এখন বিটিভির চারটি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই আমরা আরো ৬টি চ্যানেল চালু করতে যাচ্🌟ছি।”
এ স♔ময় দেশ গঠনে এবং আবহমান বাংলার সংস্কৃতি লালনের জন্য বাংলাদে♛শ টেলিভিশনে নানা অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়ে আসছে এবং বিটিভিকে আরো এগিয়ে নেয়ার নানা পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
তথ♌্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, “বিটিভি ৫৮ বছরে পা রাখলো। এই প্রতিষ্ঠানটি আজকে অনেক বড় একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ এই বাংলাদেশর সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে যারা লালন পালন করেন এবং জাতি গঠনে শিল্প-সংস্কৃতি যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সংস্কৃতির সেই পরিম💮ণ্ডল তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিটিভি।”
বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ টেলিভিশন ধীরে ধীরে আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। এই টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলো ভিন্ন আঙ্গি꧂কের। এখানে জনসংখ্যা সমস্যা, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, যৌতুকপ্রথা—এসব সমস্যা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের পাশাপাশি তথ্য, বিনোদন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য কৃষি সব ধরণের অনুষ্ঠানই প্রচারিত হয়ে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার ব❀াংলা বাস্তবায়নে আমরা মিডিয়া হিসেবে অবদান রাখতে চাই। প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীতে আমরা নতুন উদ্যমে কাজ করার অঙ্গীকার করছি।”
এইচডি সম্প্রচারের উদ্বোধন শেষে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার উপস্থাপ💜নায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠা🌱ন সম্প্রচারিত হয়।