জাবিতে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২২, ১১:০২ এএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও আরেক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। অবশ্য মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন ওই দুই ছাত্ꦯরলীগ কর্মী।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যা🐻লয়ের নতুন প্র🐈শাসনিক ভবনের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অভীক রায় এবং তার সহপাঠী। এ ঘটনার বিচার চেয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত♛ অভিযোগ করেছেন।

মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহমেদ গালিব এবং জাহিদ হাসান তুহিন। এদের মধ্যে গালিব মীর মশাররফ হোসেন হল এবং তুহিন মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। গালিব শাখা ছাত꧒্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের এবং তুহিন সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী।

লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মুরাদ চত্বর থেকে মোটরসাইকেলে অভীক রায় তার বান্ধবীকে পেছনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার দিকে যাচ্ছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে রাস্তায় সাইꦬড দেওয়াকে কেন্দ্র করে গালিব ও তুহিনের সঙ্গে অভীকের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে গালিব এবং তুহিন অ💙ভীক ও তার বান্ধবীকে গালাগালি শুরু করেন। হঠাৎ গালিব এবং তুহিন তাদের দুইজনকে মারতে উদ্যত হন। একপর্যায়ে তারা অভীককে মারধর করেন ও তার বান্ধবীকেও হেনস্তা করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

জানতে চাইলে অভীক রায় বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসলে সাত থেকে আটজন শিক্ষার্থী একসঙ্গে হাঁটার কারণে ꦆরা✱স্তার বাঁ দিকটা ব্লক হয়ে আছে দেখতে পাই। কয়েকবার হর্ন দিলেও তারা রাস্তা ছাড়েননি। তখন ডান পাশ দিয়ে রিকশা আসছিল, যে কারণে আমি রাস্তা পার হতে পারিনি। ওই সময় গালিব আমাকে মারধর করে এবং আমার বান্ধবীকে হেনস্তা করে।”

জাহিদ হাসান তুহিন বলেন, “ক্লাস শেষ করে আমরা ৭-৮ জন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। অভীক রায় পেছন থেকে বাইক নিয়ে এসে জোরে জোরে হর্ন দিচ্ছিলেন। এত 🥂জোরে হর্ন দিয়ে পরিবেশ দূষণের কারণ ဣজিজ্ঞেস করলে তার সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি হয়েছে, কিন্তু মারধরের ঘটনা ঘটেনি।”

গালিব আহমেদ বলেন, “আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে, কিন্তু আম🌜রা তাঁদের মারধর করিনি।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান সোহেলকে একাধিকবার ফোন দেও🃏য়া হলেও তিনি ফোন🦋 রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান✅ বলেন, “প্রক্টর অ💧ফিসে বিকেলে অভিযোগপত্র জমা হয়েছে। আমরা শিগগিরই বসে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।”