মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের পর লাইভে এসে যা বললেন বিএনপি নেতার ছেলে

বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম

বরগুনায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ ম𝕴ো. আব্দুর রশিদ মিয়াকে মারধরের🎃 ঘটনা ঘটেছে। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লা তাকে মারধর করেন। এরই মধ্যে সেই মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এরপর রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনার কারণ জানিয়ে ফেস🧸বুক লাইভে এসে 🅘কথা বলেছেন শাওন মোল্লা।

[97723]

ফেসবুক লাইভে শাওন মোল্লা বলেন, “আমি কোনো বয়স্ক লোকের সঙ্গে বেয়াদবি করিনি। আমি কেন আইন হাতে তুলে নিলাম বা কেন এমন আচরণ করলাম, তার উত্তর দিতেই এ ফেসবুক লাইভে আসা।...আবদুর রশিদ আমার দলের নেত্রী খালেদ🅺া জিয়া, আমাদের নেতা তারেক রহমান, আরাফাত রহমান সম্পর্কে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তাই শহীদ জিয়ার একজন সৈনিক হিসেবে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি। তাই বয়স বিবেচনায় একজনের...গায়ে হাত তোলা যদি অন্যায় হয়, তবে আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাই।”

শাওন আরও বলেন, “তথাকথিত কমান্🌃ডার রশিদ ওরফে কালা রশিদ, ওরফে ডাকাত রশিদ, ওরফে ধর্ষক রশিদের মুক্তিযুদ্ধে কোনো ভূমিকা ছিল না। উনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার হয়েছেন। তিনি নিজেও টাকার বিনিময়ে যাকে-তাকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন। উনার ▨অত্যাচারে বরগুনার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অতিষ্ঠ এবং সঠিক মুক্তিযোদ্ধারা লাঞ্ছিত-বঞ্চিত। উনি ডাকাত সর্দার, ভূমি খেকো, নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি ও ভিডিও ফুটেজ আছে। সেগুলো আমি পরবর্তীতে আপনাদের সামনে তুলে ধরব এবং আইনের আশ্রয় নেব।”

এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তা করার পর রোববার দুপুরে শাওন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের দলের একজন নꩲেতাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাকে আমি মারধর করি। এ ছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আমার বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে𝓡ছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে পরিচিত।”

এর আগে রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শাওন মোল্লা প্রকাশ্যে বরগুনা জেলা মুক্তিযোꩵদ্ধা সংসদের সাবেক ক❀মান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আবদুর রশিদকে হেনস্তা করেন। এই হেনস্তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

মারধরের শিকার মো. আব্দুর রশিদ বলেন, “আমার নিজের কাজে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছি। আমি একজন মুক্তি🧜যোদ্ধা ও বয়স্ক মানুষ। চেষ্টা করব আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার। আম🎐ি অন্যায় করে থাকলে দেশে আইন আদালত আছে। সেখানে আমার বিচার হবে। কিন্তু এভাবে আমার গায়ে কেউ হাত তুলতে পারেন না।”

বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হালিম বলেন, “সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রশিদ বরগুনায় পরিচিত একটি মুখ। তার ওপরে হামলার ঘটনা 𒐪ঘটেছে এবং একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি আমাদের পুলিশ সুপারের নজরে এসেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি যদি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”